দেশে এখন
0

মহাসড়কে বাইক চালাতে লাগে না লাইসেন্স, বাড়ছে দুর্ঘটনা

কত উদ্যোগ, কত কৌশল তবুও থামানো যাচ্ছে না মহাসড়কের দুর্ঘটনা। থামবেই বা কি করে ? ক্ষমতা থাকলে মহাসড়কে বাইক চালাতে লাগে না লাইসেন্স। হেলমেট তো দূরের কথা। ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ভ্যান থেকে শুরু করে ছোট যানবাহন তো আছেই। এ সব যানবাহনের ভুলে দুর্ঘটনা দায় কার? ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত হাতে এদের দমন করার কথা জানিয়েছেন।

রাতের মহাসড়ক কতটুকু নিরাপদ? একের পর এক দুর্ঘটনা তবুও কতটুকু সতর্ক হলো দায়িত্বশীলরা ? অনুসন্ধান করতে চায় এখন টিভি। মহাসড়কের পাশাপাশি সংযোগ সড়কগুলোয় গতির ঝড় এদের। অনিয়ন্ত্রিত চালকের জন্য ২৮ এপ্রিল শরিয়তপুরের ফেদু শিকদার কান্দি এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান খবির ফরাজীর নাতী সোহান জঙ্গী।

ফেদু শিকদার কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খবির ফরাজী বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন পোলাপান কী করে না করে। এখানকার পোলাপান কি ভালো আছে?'

অবশ্য এ ঘটনায় থানায় একটি প্রাথমিক ডাইরি হয়েছে। আইন অমান্য করলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ প্রধান।

শরিয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, 'পদ্মা সেতু থেকে নেমে জাজিরা থেকে শরিয়তপুর আসা পর্যন্ত এই রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ্যা খুব কম। তারপরেও যে দুর্ঘটনাগুলো হচ্ছে তা চালকের অসচেতনার কারণে হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল তারা বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে হচ্ছে।'

দেশের ২২ হাজার কিলোমিটার হাইওয়ের মধ্যে মাত্র ৩ হাজার কিলোমিটারের নিয়ন্ত্রণ হাইওয়ে পুলিশের কাছে। তাদের দেয়া হিসেব বলছে ২০২২ সাথে থেকে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে ২০২৩ সালে। মোটরসাইকেল আরোহীদের ২০২২ সালে যেটি ছিল ৫৫৫টি সেটা ২০২৩ সালে দুর্ঘটনার সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় ৬০৭ টিতে। এছাড়া পিকআপ ভ্যান, রিক্সা, বেবি টেক্সিতেও দুর্ঘটনা সংখ্যা বেড়েছে।

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম বলেন, 'মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের তরুণ এবং যুবক শ্রেণির যারা আছে তারা লাইসেন্স ছাড়াই রাস্তায় বের হচ্ছে মোটর সাইকেল নিয়ে। কোনো সেফ ড্রাইভিং নেই বলে প্রচুর দুর্ঘটনা হচ্ছে।' 

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মহাসড়কে হয় এমন মন্তব্য যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, 'গতির যে মাদকতা তার পিছনে ছুটছে তরুণরা। যার ফলে মহাসড়কে ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষ করে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে।'

দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও কমাতে হলে মহাসড়কে ধীর গতির যানচলাচল কমাতে হবে বলে মত সহাসড়ক বিশেষজ্ঞদের।

ইএ