শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে লার্নিং গ্যাপ তৈরি হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য মোটেও ভালো না।'
তিনি বলেন, ‘আমাদের আসলে কারিকুলামের ক্যালেন্ডার স্থির রাখা কঠিন। আমাদের যদি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যত দিনের প্রয়োজন এইটা পূরণ করতে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখতে হয়, তাহলে শুক্রবারও রাখতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা কার্যক্রমের কারিকুলামের যে দিনগুলো আছে, সেগুলো যথাযথভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজন বোধে শনিবার খোলা রাখতে হয় এবং আমরা সেটা রেখেছি। যদি আগামীতে কারিকুলামের দিনগুলো সম্পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে শনিবার খোলা রাখার প্রয়োজন পড়বে না।’
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, 'ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে আর প্রান্তিক পর্যায়ে বন্ধ থাকবে- এটা একটা বৈষম্যের পর্যায়ে পড়ে। বড়লোকের সন্তানরা পড়বে আর প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণের সন্তানদের স্কুল বন্ধ থাকবে, এটা তো হতে পারে না।'
হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'হাইকোর্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সেটার এখন পর্যন্ত আদেশের কপি পাইনি। গণমাধ্যমের মাধ্যমের কাছ থেকে জানতে পেরেছি।' এ সময় বন্ধ বৃদ্ধি করা হলে আপিল করার একটা সুযোগ থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও বন্ধ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা প্রসঙ্গ প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথা শুনে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।'
চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ আদেশ দেন।
তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে, পরীক্ষা চলমান আছে, ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলেও হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে।