শিক্ষা
দেশে এখন
0

দাবদাহে ইংলিশ মিডিয়ামে পাঠদান চললেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম

তীব্র তাপপ্রবাহে যখন সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঢাকাসহ ২৭ জেলায় মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ, তখন সকাল থেকে রাজধানীর বেশকিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে আসতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। কেউ প্রাইভেট কারে, কেউ রিকশায়, কেউবা আসে হেঁটে। তবে তুলনামূলকভাবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেখানে ক্লাস নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। সে কারণে রাজধানীর লালমাটিয়ায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল একাডেমিয়া শ্রেণীকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালু রেখেছে। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত অনেকটাই কম।

শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, 'যাদের আসতে একটু সমস্যা হচ্ছে বা একটু অসুস্থ তারা অনলাইনে ক্লাস করছে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে প্রতিদিনই।'

অনেক অভিভাবক জানান, সকালে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় স্কুলে আসতে সমস্যা না হলেও দুপুরে ছুটির পরে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে সূর্যের চোখ রাঙানিতে ভুগতে হয় তাদের।

অভিভাবকরা বলেন, 'দুপুরের সময়ে অনেক গরম থাকে। বাচ্চা বাসার যাওয়ার সময় বেশি কষ্ট করছে।'

একাডেমিয়া স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান দাবদাহে তারা অফলাইনের পাশাপাশি চালু রেখেছে অনলাইন ক্লাসও। শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে সমস্যা হলে অনলাইন ক্লাসেও যুক্ত হতে পারবে। পাশাপাশি ছাড় দেয়া হচ্ছে ইউনিফর্মের ব্যাপারে।

একাডেমিয়া টিচার ইনচার্জ এলিমেন্টারি সেকশনের শিক্ষক রুমানা আফরোজ বলেন, 'অভিভাবকরা যারা মনে করছে স্কুলে এসে ক্লাস করতে পারবে তাদেরকে নিয়ে আসছে। আর যারা পারছে না তারা অনলাইনে ক্লাস করছে।'

তবে অভিভাবকরা রাজি না হওয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকার পরও শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে, পুরোপুরি অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে।

এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক মোশাররফ হোসাইন বলেন, 'প্রচণ্ড গরমের কারণে অফলাইন স্কুল কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। অনলাইনে নেয়া হচ্ছে ক্লাস।' 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে শ্রেণি কার্যক্রম কীভাবে চালিয়ে নেয়া যায় তা বার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, 'আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বড় দুর্বলতা হলো বাংলাদেশ সরকার বার্ষিক পরিকল্পনা ছাড়া শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম।'

ঈদের ছুটির পর তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শুরুতে এক সপ্তাহ ছুটি বাড়ানো হয়। এর পর দুই দিন স্কুল-কলেজ চালু থাকলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ আসে।

ইএ