কালো মেঘে ছেয়ে গেছে আকাশ, আর গ্রীষ্মের তীব্র গরমের পর নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। টিলা পাহাড় বেষ্টিত এই নগরীর মানুষ অনেকটাই আপন করে নিয়েছেন চিরচেনা বৃষ্টিকে।
তবে সিলেটের অতিবৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার নাম জলাবদ্ধতা। অল্প বৃষ্টিতেই নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। এ ছাড়াও স্কুল কলেজ ও অফিসগামী মানুষের সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় অনেকটাই।
স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘আজকের বৃষ্টির পরিমাণটা একটু বেশিই। যদিও স্বস্তির তারপরও ভোগান্তিও আছে।’
অন্য একজন বলেন, ‘সকালে বৃষ্টি হলে আমাদের অফিসে যেতে সমস্যা হয়। তেমনি বাচ্চাদের স্কুলে যেতেও সমস্যা হয়।’
এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে বেচা-বিক্রিতে ভাটা পড়েছে জানান ব্যবসায়ীরা।
একজন সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘বৃষ্টি হলে প্রচুর সবজি নষ্ট হয়। এজন্য সবজিগুলোর দাম অনেক বেশি থাকে। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে অনেক। এ সময় স্কুল খোলা থাকে, সবাই এখান থেকে কিনে নয়ে।’
তবে খুদে শিক্ষার্থীদের মনে বৃষ্টি মানেই আনন্দেরই এক অন্যতম অনুষঙ্গ। সকালের বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে স্কুলে আসলেও তাদের আনন্দের কমতি নেই।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমার বৃষ্টি খুব ভালো লাগে। বৃষ্টির সময় আমার বন্ধুদের সাথে খুব মজা করি।’
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মোট ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরইসাথে বেশ কয়েক জায়গায় বজ্রপাতেরও ঘটনা ঘটেছে।
