বাজার
দেশে এখন
ইলিশের বেচাকেনায় জমজমাট চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট
মৌসুমের প্রথম ভরপুর ইলিশ মিললো চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ট্রাক ভর্তি ইলিশের বেচাকেনায় জমজমাট হয়ে উঠে ফিশারিঘাট। ইলিশ আহরণ শুরু হওয়ায় আড়তদার ও জেলেদের মাঝে খুশির আমেজ। শুধু তাই নয় এদিন বিশাল আকৃতির বিরল সব মাছ উঠেছে আড়তে, যার কোনো কোনোটির দাম মণ প্রতি ১১ লাখ টাকার বেশি।

ফিশারিঘাটে আড়তের সামনে রাখা সারি সারি বিশাল আকারের বিরল মাছ। নাম দাঁতিনা কোরাল, লাল কোরাল ও লাক্ষা। হঠাৎ ধরা পড়া এমন বিশাল মাছ দেখতে উৎসুক জনতা ও ক্রেতা ভিড় করেছেন। মাছ কিনতে বেশ কয়েকজন রপ্তানিকারকও হাজির। তাই নিলামেও বেশ হাঁকডাক।

বোট মালিক জানান, এসব মাছের বায়ুথলি বিদেশে স্যুপ তৈরি ও ঔষুধের কাজে লাগে। তাই রপ্তানি হয় প্রতি কেজি ১৭ থেকে ২০ লাখ টাকায়। এ মাছ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

চট্টগ্রাম ফিশারিঘাটের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এই মাছ সহজে পাওয়া যায় না। কেউ যদি দুই-একটা মাছ পায়, তাহলে ভাগ্য ভালো। অনেকে তো চার-পাঁচ বছরেও পায় না।’

শুধু বিরল এসব মাছ নয় শুক্রবার মৌসুমের প্রথম ভরপুর ইলিশ ফিশারিঘাটে এসেছে। কয়েকটি আড়তের সামনে ট্রাক ভর্তি ইলিশের দেখা মেলে। আকারভেদে ঝুঁড়িতে রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।

মৌসুমে জালে ইলিশ পড়া শুরু হওয়ায় সবাই বেশ খুশি। পাইকারিতে প্রতি মন ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের আড়তেও বেশ ভিড় দেখা গেলো।

মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, এতোদিন মাছ ছিলো না। এখন মাছ আসছে, বেচাকেনাও মোটামুটি হচ্ছে। মাছ আরও আসলে দামও কমে যাবে।

এ সপ্তাহে ছোট আকৃতির সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ বেড়েছে। ক্রেতা না থাকায় দামও অর্ধেকে নেমেছে। পোয়া, বাইলাসহ বিভিন্ন মাছ অন্য সময় কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও, আজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আড়তে সব ধরনের মাছই পাওয়া যাচ্ছে। দামও নাগালের মধ্যে আছে। ঈদের পরে একটু দাম কমছে।’

বোট মালিকরা জানান, 'সাগরে মাছ আহরণে অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় বড় আকারের সমুদ্রের মাছ জালে আসছে না। ছোট আকৃতির মাছে খরচ পুষিয়ে উঠতে না পারায় লোকসানে আছেন তারা।

আগামীতে বৃষ্টি হলে সাগরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের সরবরাহ বাড়বে। এতে দামও কমে আসবে বলে জানান জেলেরা।

এওয়াইএইচ