গত ১৬ বছরে আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গঠন করা হয় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদোন্নতি, পদায়ন ও আর্থিক সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে অনেক কর্মকর্তারা।
গত সাড়ে চারমাসে সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সবকিছুই মাথায় রেখে কাজ করছে সংস্কার কমিশন। কাজ শুরুর পর থেকে তারা বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।
আজ (সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে সংস্কার কমিশনের সভায় আইনজীবী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। সেখানে উঠে আসে স্থানীয় প্রশাসন থেকে সচিবালয় সব জায়গায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চিত্র। এ কারণে সংস্কারে প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত, নিরপেক্ষ ও জনবান্ধব করার দাবিতে সবাই একমত। সংস্কার কমিটিকে সব সেবা সংস্থাকে যুক্ত করার প্রস্তাব আসে বক্তাদের তরফ থেকে।
এ সময় সংস্কার কমিশনের সদস্যরা জানান, জনপ্রশাসন সংস্কারে অনলাইনে ১ লাখ ৫ হাজার মানুষ তাদের সুপারিশ পেশ করেছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য সাবেক সচিব ড. আইয়ুব মিয়া বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে সেটা তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা আর মাত্র ১ সপ্তাহ বাকি আছে। ইতিমধ্যে কমিশন অনেক কাজ করেছে।’
জনপ্রশাসনের সেবাকে ঢাকামুখী না করে বিকেন্দ্রীকরণের সুপারিশ এসেছে অনেকের কাছ থেকে। সংস্কার কমিটির সদস্যরা বলেন, গত ১৫ বছর সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে কোন দূরত্ব ছিল না, তারা মিলেমিশে দুর্নীতি করেছেন।
আগামী আগামী ৩১ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন কমিশন তাদের সুপারিশ জমা দেবে।