কমলাপুর রেলস্টেশনে কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাটার বুথ যেন বাতির নিচে অন্ধকার। ঈদের আগের দিনের ট্রেনের বেশিরভাগ কামড়া ফাঁকা। তারপরও যারা টিকেট কাটতে আসছেন তাদের কয়েকগুণ বেশি দামে টিকিট কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।
নাসির হোসেন নামের এক ব্যক্তির জামালপুর কমিউটার ট্রেনে ২টি আসন প্রয়োজন হলেও তাকে দেয়া হয়েছে ৫টি টিকিট। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রায় সব যাত্রীর সঙ্গেই ঘটে এমন ঘটনা।
তিনি বলেন, 'আমি দুইটি সিটের জন্য টিকিট কেটেছি কিন্তু উনি আমাকে দিয়েছে ৫টি টিকেট। জিজ্ঞেস করার পর বললো তাদের সিস্টেমই নাকি এমন। ঈদের দুইদিন পর পর্যন্ত নাকি এভাবেই নিতে হবে।'
কিন্তু এর কারণ কি? জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন দায়িত্বরত টিকিট বিক্রয়কর্মী। যদিও এক পর্যায়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ফেরত নেন টিকেটগুলো। কিন্তু নতুন সংকট শুরু হয় তারপরই। টিকেটগুলো সরিয়ে রেখে বলা হচ্ছে কোন আসনই ফাঁকা নেই ট্রেনে।
এই পর্যায়ে টিকিট বিক্রি নিয়ে এমন স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনা স্টেশন ম্যানেজারকে জানায় এখন টিভি। এরপরই আবার টিকিট পেতে শুরু করে ভুক্তভোগী নিম্নআয়ের মানুষেরা।
এক উপকারভোগী বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) জন্যই আমরা টিকিট পেয়েছি, নয়তো পেতাম না। এজন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি একা মানুষ ৬টা টিকিট কেন কাটবো?
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাহাদাত হোসেন বলেন, 'আমি তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছে যে এটা হওয়ার মতো না। টিকিট বিক্রেতাকে ক্লোজড করে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষের পকেট কাটাবাদে ঈদের আগে শেষদিনে ঢাকা ছাড়ার যাত্রায় কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তেমন ভোগান্তি চোখে পড়েনি। ঈদের ছুটির মধ্যে পড়ে যাওয়ায় এদিন ৬৫ জোড়া নিয়মিত আন্তঃনগর, লোকাল ও কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি স্পেশাল ট্রেনও চলেছে।