চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও বান্দরবানের কয়েক লাখ মানুষের চলাচল নির্ভরশীল এই চন্দ্রঘোনা ফেরির ওপর। স্থানীয়রা ছাড়াও পর্যটকদের জন্য তিন পার্বত্য জেলা ঘুরে কক্সবাজারে যাওয়ার এই পথ বেশ জনপ্রিয়।
প্রতিদিন এখান থেকে কয়েক হাজার ছোটবড় যানবাহন চলাচল করে। তবে নাব্যতা সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় নিয়মিত যাতায়াত, জরুরি রোগী, কৃষি পণ্যসহ মৌসুমি ফল পরিবহনে দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা।
যাত্রীদের একজন বলেন, 'ফেরি থাকলে আমরা তাড়াতাড়ি পারাপার হতে পারি না হলে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে হয়।'
১৯৮৪ সালে চন্দ্রঘোনা ফেরি সার্ভিস চালু করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ভোগান্তি না কমায় দীর্ঘ চারদশক ধরে সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছেন স্থানীয়রা। ২০১৭ সালে সেতু অথবা টানেল নির্মাণের আশ্বাস আসলেও দীর্ঘ সাত বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তবে সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে বলে জানান, রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, 'কর্ণফুলি নদীর উপরে চন্দ্রঘোনা যে ফেরি ঘাট রয়েছে সেখানে একটা সেতু নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে এখানে সাইট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্ট্যাডির মাধ্যমে ব্রিজের ডিজাইন, লে আউট তৈরি হবে।'
দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সড়কের সঙ্গে এই সেতুতে যুক্ত হবে বরকল ঠেগামুখ স্থলবন্দর সড়ক। যা আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে শক্তিশালী অংশীদার হয়ে স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে। আর আশ্বাস নয়, দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।