বাসিন্দারা বলেন, ‘বাসায় ঝাঁকে ঝাঁকে মশা আসে। সন্ধ্যার আগেই কয়েল জ্বালিয়ে রাখি। মশার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারছি না।’ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্টার্ন হাউজিংয়ে বসবাসরত বাসিন্দাদের এমন অভিযোগ। পুরো আবাসিক এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস কিন্তু নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত তারা।
একই ওয়ার্ডের আরেক এলাকা রূপনগর আবাসিক এলাকা। একসময় এই এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা দুয়ারীপাড়া খাল এখন ময়লার ভাগাড়। নানান আবর্জনায় সেখানে পানির দেখা মেলে না, তবে জন্মায় মশা।
বাসিন্দারা বলেন, ‘দুয়ারীপাড়া খালটা পরিষ্কার করা খুবই প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশনের লোক আসে একটু ওষুধ দিয়ে চলে যায়, কাজের কাজ কিছুই হয় না।’
মশা নিয়ে নগরবাসীর এমন অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরেক বিষফোঁড়া। ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। ফাঁকা হচ্ছে রাজধানীর আবাসিক অঞ্চলগুলো। এর মধ্যে জনমনে ভীতি ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু।
২০২৪ সালে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৪৭ রোগী। ২২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঈদের আগে এবং পরে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘পানিগুলো জমে না থাকে সিটি কর্পোরেশনের এই ব্যবস্থা করা দরকার। তা নাহলে মশার উপদ্রব আরও বাড়বে।’
ফাঁকা ঢাকায় বাসা-বাড়ির টব, বারান্দা, বালতি, টয়লেট ও অন্যান্য স্থানে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ। তাই ঈদে ঘর ছাড়ার আগে নগরবাসীকে অতিরিক্ত সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘এমন কোনো পাত্র রাখা যাবে না এই সময়ে, যেখানে বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার প্রজনন হতে পারে।'
তবে জনগণের সচেতনার পাশাপাশি মশক নিধনেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সিটি কর্পোরেশনকে ঈদ আনন্দে সজাগ থাকতে হবে।