দেশে এখন
0

বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নে পিছিয়ে ‍রাজশাহী-খুলনা

আস্থা অর্জনে সচেষ্ট দুই সিটি কর্পোরেশন

লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে দেশের ৪১ ভাগ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি থেকে। অথচ পানি সরবরাহে নীতি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ নাগরিকদের। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিয়ে কাজ করা সেবা সংস্থা ও সিটি কর্পোরেশনের উপর আস্থা কম রাজশাহী ও খুলনার সেবাগ্রহীতাদের। দুই সিটি কর্পোরেশন অবশ্য বলছে, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে আস্থা অর্জনের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

উত্তরে মাটির নিচে পানির অভাব আর দক্ষিণে মাটির উপরে পানিতে লবণাক্ত। দেশের দুই প্রান্তের এই জনপদের মানুষগুলোর তাই বিশুদ্ধ পানির জন্য লড়াইটা অনেক পুরোনো। শুধু এই উত্তর-দক্ষিণ নয়, পুরো বাংলাদেশের ৪১ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত।

রাজশাহী ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিয়ে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নীতি কাঠামো নিয়ে বিস্তর অভিযোগ এই দুই কর্পোরেশনে বসবাসকারী মানুষের। গবেষণায় দেখা গেছে এই দুই অঞ্চলের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষের অজানা সেবা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে।

সমস্যার গভীরতায় না যাওয়া, দুর্নীতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়া, ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের দূরত্ব সব মিলিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন বহুদূরে। অবাক করার বিষয় হলো, যে রাজশাহী পরিষ্কার শহরের খেতাবে প্রশংসিত, সেই শহরে সিটি কর্পোরেশনের নেই পয় নিষ্কাশনে আলাদা কোন ব্যবস্থা।

ফাউন্ডেশন ফর ডিজাস্টার ফোরামের সদস্য সচিব গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, ‘একটা গোষ্ঠী গড়ে উঠছে যারা পানিটাকে অন্যভাবে নেয়ার জন্য আমাদের ওপর চাপ তৈরি করছে। তারা কিন্তু অনেক শক্তিশালী, তাদের সাথে কাজ করা যাবে না।’

তিনি বলেন, সাবমারসিবল পাম্প এখন প্রত্যেকটা জেলা শহর এবং দুই বিভাগের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা আপনি জায়গাভেদে ৫, ১০ ১৫ হাজার টাকা দিলেই বসাতে পারবেন।’

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেবা সংস্থার সমন্বয়ের ওপর জোর দেয়ার পাশাপাশি সেবা দেয়ার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

মাটির নিচে আর উপরে দুই অংশের পানির ভবিষ্যৎ যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে বৃষ্টির পানি হতে পারে সুপেয় পানির অন্যতম উৎস।

এএইচ