ভ্যাপসা গরমে গত কয়েকদিনের বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও এডিস মশার প্রজননের জন্য একেবারেই আদর্শ পরিবেশ। হাসপাতালের চিত্রও বলছে বাড়ছে ডেঙ্গু ।
প্রতিদিনই রোগী ভর্তি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিই রোগী ভর্তি হচ্ছে রাজধানীতে। মুগদা মেডিকেলে ডেঙ্গু বিশেষায়িত ওয়ার্ডে সবগুলো শয্যায় ভর্তি আছে রোগী। এমনকি নির্ধারিত সিটের চেয়েও বেশি রোগীর সংখ্যা। মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালের চিত্রও অনেকটা একই।
বেশিরভাগ রোগীই তীব্র মাথা ব্যথা , শরীর ব্যথা, বমি, পেট ফেঁপে থাকা, কিংবা রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হতে এসেছেন হাসপাতালে। রোগীদের মধ্যে একজন জানান, পানিটা পর্যন্ত আমি খাওয়ার সাথে সাথে ফেলে দিতাম। আর আমার প্রচণ্ড জ্বর আসতো এবং কষ্ট হতো।
মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা হয়। অনেক সময় বুকে ব্যথা করে এবং জ্বর থাকে বলেও জানান আরও একজন রোগী। এই রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। রক্তক্ষরণ বমি তীব্র জ্বর, ডেঙ্গুর এসব উপসর্গ দেখা গেলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ তাঁদের।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের এডমিন মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া সুলতানা রেশমা বলেন, ‘জ্বর হওয়ার পর দেখতে হবে তার ডেঙ্গু হয়েছে কিনা। আর নিয়মতো চিকিৎসায় একজন ডাক্তারের ফলোআপে থাকা উচিত এবং সেই অনুযায়ী তাকে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। আর প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহণের বিষয়ে আমরা পরামর্শ দেই।’
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও ভর্তির তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৬৭, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৬, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২২৮, খুলনা বিভাগে ১৩৪ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৮ জন এবং রংপুর বিভাগে ২৮ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ২৯ হাজার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন মারা গেছে বলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।