ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন। হাতে পায়ে মশার কামড়ের দাগ দেখিয়ে জানালেন, দিনেও মশার উৎপাতে ঘরে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, 'অলিগলি, খাল পরিষ্কার না থাকায় মশার উপদ্রব এত বেশি।'
ধোলাইপাড়, দনিয়া, যাত্রাবাড়ী এলাকায় ড্রেনের আশেপাশের বাসাবাড়িতে মশার উৎপাত অনেক বেশি। ধোলাইপাড় ড্রেনের তিন দিকে তিনটি ওয়ার্ড থাকায় এখানে মশার উপদ্রব বেশি ফলে অন্যান্য এলাকার থেকে এখানে থাকা বাসিন্দাদের দুর্ভোগও বেশি।
বাসিন্দারা বলেন, 'কিছু কিছু লোক এসে মশার স্প্রে করে ঠিকই কিন্তু মশা যা আছে তাই থাকে। মশা কমতে দেখিনা। দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।'
৬১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশিরভাগ জায়গাতেই চলছে রাস্তা মেরামতের কাজ সেখানে জমছে ময়লা পানি। এছাড়া অলিগলিতে ফেলে রাখা গৃহস্থালি আবর্জনার স্তুপ যেন মশা প্রজননের আঁতুড় ঘর৷
একদিকে মশা যেমন বাড়ছে সেই সাথে বাড়ছে মশারি বিক্রি। দিন রাতের তোয়াক্কা না করা মশার বিচরণে মানুষের মশারি ব্যবহার বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'বর্তমানে অনেক মশারি বিক্রি করছি। ম্যাজিক মশারি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এখন মানুষ কি করবে মশার যন্ত্রণায় তো ঘুমাতে পারে না।'
৬১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জুম্মন মিয়াকে তার কার্যালয়ে না পাওয়া গেলেও ফোনে জানান বাড়ির আশেপাশে পড়ে থাকা আবর্জনা থেকেই বাড়ছে মশা। জনসচেতনতার ঘাটতির কারণে কমছে না মশার উপদ্রব।