শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা নওকুচির বাসিন্দা খোকন মিয়া। পেশায় কাঠমিস্ত্রি হলেও তার নেই কারিগরি জ্ঞান। পড়ালেখা মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। অর্থের অভাবে কিনতে পারেননি বাইসাইকেল। তাই খোকনের ইচ্ছে ছিল একটি বাইসাইকেল বানানোর। এরপর মেধা খাঁটিয়ে দীর্ঘ একমাস পরিশ্রম করে কাঠের বাইসাইকেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
চাকা, প্যাডেল, সিট, হ্যান্ডেলসহ সবকিছুই কাঠের। রয়েছে হাইড্রলিক ব্রেক, ডিজিটাল হেডলাইট ও আধুনিক হর্ন। বিশেষভাবে রঙ করার পর ভিন্ন রূপ পেয়েছে কাঠের সাইকেলগুলো।
খোকন মিয়া বলেন, 'সাইকেল বানানোর সময় অনেকেই হাস্যকরভাবে কথা বলেছে। তারা বলতো কাঠ দিয়ে সাইকেল বানানো সম্ভব না। কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল একটা কাঠের সাইকেল তৈরি করবো।'
ব্যতিক্রমী এ বাইসাইকেলের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দূর-দূরান্ত থেকে দেখতে আসছেন অনেক দর্শনার্থী। কাঠ দিয়ে সাইকেল তৈরি হবে এটা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য।
মানুষের কটু কথা শুনেও আশাহত হননি খোকন মিয়া। বরং সফল হয়ে দেখিয়েছেন বলে জানান কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান। বলেন, 'সে একটি সাইকেল তৈরি করেছে। যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। আমার পরিষদ থেকে তাকে সহযোগিতার জন্য চেষ্টা করবো। সরকার যদি তাকে সাহায্য করে তাহলে এই ছেলেটা আরও কিছু জিনিস আবিষ্কার করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।'
সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে কাঠের মোটরসাইকেল তৈরির ইচ্ছা কাঠমিস্ত্রি খোকনের।