এশিয়া
বিদেশে এখন
0

পশ্চিমবঙ্গে জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পূজা

প্রতি বছরের মতো এবারও চলছে পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পূজা। দেশি-বিদেশি লাখ লাখ দর্শনার্থীদের ভিড় জমে উঠেছে হুগলির চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরে পূজা মণ্ডপগুলো। পাঁচদিন ব্যাপী এই পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে ১১ নভেম্বর। ছোট-বড় ৪০০টি জগদ্ধাত্রী পূজা মণ্ডপে ব্যয় হচ্ছে কোটি কোটি রুপি।

পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পূজা ঘিরে উৎসবে মেতেছেন ভারতবাসী। হুগলির আশপাশের জেলাতো বটেই, অন্যান্য রাজ্য, এমনকি ভিন দেশ থেকে এসেও ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। একেকটি পূজার প্যান্ডেল রূপ নেয় মিলন মেলায়। ঝলমলে আলোয় দেবী জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা দেখতে ভিড় করেন সবাই।

গঙ্গা তীরবর্তী বাণিজ্যিক নগরী চন্দননগরের এই বিখ্যাত পূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের আনাগোনায় নিম্নআয়ের মানুষজনের আয়-রোজগারও বেড়েছে। ফরাসি উপনিবেশের এই শহরটিতে এখন খাওয়া, দাওয়া আর হৈ-হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই জগদ্ধাত্রী পূজা।

এবার ২০০ মণ্ডপের অনুমতি থাকলেও ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত ৪০০টি মণ্ডপে চলছে জগদ্ধাত্রী পূজা। এর মধ্যে, বাগবাজার চৌমাথা, হাটখোলা, সার্কাস মাঠসহ হাতেগোনা কয়েকটি পূজার আয়োজন সবচেয়ে বড়। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পূজা উদ্যোক্তাদের কোথাও অভিনব থিম, আবার কোথাও প্রতিমার অপরূপ সাজসজ্জা আর লাইটিং। খরচ হচ্ছে কোটি কোটি রুপি।

নদিয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন শুরু হয়। মূলত তার আমল থেকেই জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী জগদ্ধাত্রী স্বর্গ থেকে মর্তে আসেন মাত্র পাঁচ জন্য। সে অনুযায়ী পূজা চলবে আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত।

এসএস