পশ্চিম জার্মান শহর রেকলিংহাউসেন কয়লা খনি। কালের পরিক্রমায় বন্ধ এই খনিতে বসেছে ক্রিসমাস মার্কেট।
প্রায় ১৩শ মিটার লম্বা এই খনির ৫শ মিটার এলাকাজুড়ে সেজেছে ক্রিসমাসের আবহে। কয়লা খনিতে শ্রমিকদের জীবনযাপন তুলে ধরার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য ছিলো কারুশিল্প ও উপহার সামগ্রীর পসরা।
এদিকে খনির বাস্তব অভিজ্ঞতা নিতে পেরে খুশি আগতরা। আয়োজকরা জানান, প্রাচীন খনি যুগের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। আমি সিগারল্যান্ড এলাকা থেকে এসেছি। এটি আসলেই সুন্দর। সবাইকে বলবো একবার এখানে আসুন, পরিবেশটি দুর্দান্ত। শহরের ক্রিসমাস বাজারের মতো ব্যস্ত নয়।
এক অধিবাসী বলেন, ‘এই গুহায় সবকিছু আছে, এটি ভালো উদ্যোগ।’
আমরা দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। ক্রিসমাসে এটি সত্যিই অন্য রকম অভিজ্ঞতা।
খনি শ্রমিকদের বাস্তব অভিজ্ঞতা জানাতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা সবাইকে ভিন্ন কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছি। খনিটি ১৩শ মিটার লম্বা। আমরা ছোট লাইন করে ৫শ মিটারের মধ্যে বাজারটি তৈরি করেছি।
বড়দিন উপলক্ষে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। কোচাবাম্বা শহর আলোকিত করেছে লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম যীশুর ভাস্কর্য।
ক্রিসমাস উপলক্ষে লাইটিং শোর পাশাপাশি ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তোলা হয় থ্রিডি আলোকসজ্জা। যা দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শনার্থীরা।
এটি অনেক বড় স্মৃতিস্তম্ভ, মনে হচ্ছে অন্ধকারে যীশুর পুনর্জন্ম হয়েছে। আপনি অনুভব করবেন, তিনি বেঁচে আছেন, এটি দুর্দান্ত, সবাই অবাক হয়েছে।
কোচাবাম্বা শহর সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। ক্রিসমাস লাইট এবং অন্যান্য সবকিছু খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বলিভিয়ার সান পেড্রো পাহাড়ের উপরে কোচাবাম্বা শহরে নির্মিত যীশুর এই ভাস্কর্যটির উচ্চতা প্রায় ১৩২ ফুট।