দেশে এখন
0

চট্টগ্রামে বর্ষায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ কমার আশা

চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ অবকাঠামো কাজ শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে নগরীর জলাবদ্ধতা প্রবণ ছয়টি প্রধান খাল ও নালা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খনন করা হচ্ছে। তাই এবার বর্ষায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ সহনীয় থাকবে বলে প্রত্যাশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।

বর্ষা এলেই একটু ভারী বৃষ্টিতে জলে ডুবে যায় বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। গত কয়েক বছরের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ ঘুচাতে তিনটি সেবা সংস্থার প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান থাকলেও কাজে অগ্রগতি না থাকায় এসব প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। তবে এবার আশা জাগানিয়া খবর দিলো সিডিএ।

এ প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। শহরের ২ নম্বর গেইট থেকে মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট পর্যন্ত জলাবদ্ধ এলাকাগুলোর প্রধান ছয়টি খালসহ ১৫টি খাল ও নালা খননের কাজ শেষ হবে বর্ষার আগে।

সিডিএ'র প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফেরদৌস আহমেদ বলেন, 'আমাদের ৩৭টির বেশি ব্রিজের কাজ হয়ে গেছে। ৭০টির মধ্যে ৫৮টির বেশি কালভার্ট করে ফেলেছি। সুতরাং আমাদের ভৌত অগ্রগতি আশানুরূপ। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ সমাপ্ত করতে পারবো।'

যদিও বাজেট ঘাটতি ও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের কাজ প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোয়নি। ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর সুজাউদ্দিন পাঠান জানান, প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৭২০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ৫ বছরে পেয়েছেন মাত্র ২৮০ কোটি টাকা। সীমিত বাজেটের মধ্যেই ২৩টি স্লুইসগেট ও চারটি ফ্লাড রেগুলেটর নির্মাণ হয়েছে।

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭ সালে সিডিএর ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ের খাল পুনর্খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। ২০২০ সালের জুনেই কাজ শেষের কথা থাকলেও ক্রটিপূর্ণ নকশার কারণে প্রকল্পে কয়েক দফা সংশোধনের পর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে প্রকল্প শেষের মেয়াদ বেড়েছে ২ বছর।