চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে শুরু হচ্ছে বাণিজ্যিক চলাচল
যানজট কমার পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের প্রত্যাশা
পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচলের চার মাস পর চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়েতে ১৯ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু হচ্ছে। ওই দিন থেকে চলতে হবে টোল দিয়ে। তবে অধিকাংশ র্যাম্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই ব্যবহার করা যাবে না এক্সপ্রেসওয়েতে উঠানামার সব পথ। পুরোদমে চালু হলে নগরের যানজট কমার পাশাপাশি বিপুল রাজস্ব আয়ের প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।
চট্টগ্রামের ২৪ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী?
সরকার পাল্টে গেছে, অথচ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে তাদের হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প। চট্টগ্রামেও বিগত সরকারের এমন আধা ডজন মেগা প্রকল্পের আকার প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার। যেগুলো নতুন সরকারের আমলে দ্রুত শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতা বা যানজটের মতো দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হলেও, দুর্নীতি ও অপরিণামদর্শীতায় বছর বছর পিছিয়েছে প্রকল্পের কাজ। পরিবর্তিত বাস্তবতায় কী হবে এইসব প্রকল্পের?
রেহাই পেল সিআরবি'র শতবর্ষী গাছ
অবশেষে প্রতিবাদের মুখে রেহাই পেল শতবর্ষী গাছ। সিআরবি'র গাছ রক্ষা করেই র্যাম্পের বিকল্প নকশার সিদ্ধান্ত নিলো চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর আগে শতায়ু গাছ নিধন করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণের প্রতিবাদে সরব হন সচেতন নাগরিক সমাজ ও পরিবেশবিদরা।
জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অগ্রগতি না হওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষোভ
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূর করতে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়। যার দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। চাক্তাই খালের যথাযথ খনন নিয়ে সংশয় জানিয়ে এবারও বর্ষায় নগরবাসী একই ধরনের দুর্ভোগ পোহাবেন কিনা এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
চট্টগ্রামে বর্ষায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ কমার আশা
চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ অবকাঠামো কাজ শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে নগরীর জলাবদ্ধতা প্রবণ ছয়টি প্রধান খাল ও নালা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খনন করা হচ্ছে। তাই এবার বর্ষায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ সহনীয় থাকবে বলে প্রত্যাশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।