দেশে এখন
0

নোটিশেই সীমাবদ্ধ নগরের অগ্নি নিরাপত্তা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিকদের নোটিশ দিয়েই কি অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব? এক একটি আগুন লাগে, প্রাণ যায়। ঘুরে ফিরে জানা যায়,'আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।' কিন্ত তারপর কী হলো সেটি থেকে যায় অন্ধকারেই।

শহরে দগ্ধ হওয়ার গল্প নতুন নয়। মাস কিংবা বছর ঘুরে ঘটা বড় কোনো দুর্ঘটনার পর একই জবাব। আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ভবন মালিককে। যে ভবনে ছিল না রেস্তোরাঁ বা পোশাকের দোকানের অনুমোদন সেখানেই নিয়ম না মেনে গড়ে উঠেছিল একাধিক রেস্তোরাঁ। পর পর তিনবার সতর্কতার নোটিশ দিয়েও বেইলি রোডের এই ভবনকে রক্ষা করা যায়নি। প্রশ্ন থেকে যায় নিরাপত্তা ইস্যু শুধুই কি নোটিশেই আবদ্ধ?

নিরাপত্তা, অগ্নি ও জরুরি প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞ ফয়সাল আহমেদ বলেন, 'ফায়ার সার্ভিস নোটিশ দিবে এবং স্থাপনা যদি অনিরাপদ মনে করে তাহলে তাদের কাছে ভবন বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাহলে ক্ষমতার যে ব্যবহার কেন প্রয়োগ হয় না?'  

শহরজুড়ে বহুতল ভবন নির্মাণে মানা হয় না বিল্ডিং কোড। থাকে না পর্যাপ্ত অগ্নি নির্গমন পথ। ফলে বারবারই মৃত্যুর মিছিলে বাড়তে থাকে সাধারণ মানুষের সংখ্যা। এ আর্তনাদের দায় এড়াতে পারে না রাজউক, সিটি কর্পোরেশনসহ সেবা সংস্থাগুলো।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, 'রাজউকের আইন, ফায়ার বিগ্রেড সিভিল ডিফেন্সের আইন, বিভিন্ন সেবা সংস্থার আইন, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের আইন, বাণিজ্যিক অধিদপ্তরের আইন এবং সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স আইন, এই ৬ টি সংস্থার ৬ টি আইন পুরোপুরি ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। তারপরেও আমি জানতে পেরেছি ফায়ার বিগ্রেড সিভিল ডিফেন্সকে চাপ দিয়ে এইটার একটি বিশেষ তিনমাসের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল এবং যারা এইটা নিতে বাধ্য করেছেন তাদের সকলকে এবং ৬টি সংস্থার প্রধানকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের আসামী হিসেবে ঘোষণা করতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা এর প্রতিদান না করবেন তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহিতার মধ্যে এসে কেন করছেন না, সেটা জনগণকে নিশ্চিত করতে হবে।'

রাজধানীতে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ ভবনগুলো যেন আর মৃত্যুকূপ না হয়। তাই সময় থাকতেই অগ্নিনিরাপত্তার ঘাটতি থাকা ভবন চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ইএ