ভ্রমণ
অর্থনীতি
0

সিলেটের পর্যটন ব্যবসায় ধস; সহায়তা চান সংশ্লিষ্টরা

বন্যার কবল থেকে মুক্ত হতে না হতেই দেশের চলমান পরিস্থিতিতে তলানিতে ঠেকেছে সিলেটের পর্যটন ব্যবসা। হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক ধস। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই বিভাগে কয়েকদিনে শুধু পর্যটন খাতে ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকার বেশি। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তা চান সংশ্লিষ্টরা।

সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর বা গোয়াইনঘাটের বিছানাকান্দির প্রকৃতির অপরূপ নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্য লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। তবে, এখন সেখানে সুনশান নিরবতা। তাই অলস সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এলাকায় দীর্ঘদিনের ব্যবসা মো. সাজু মিয়ার। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গেলো কয়েকদিন দোকান খুলতে পারেননি। তবে, জীবিকার তাগিদে দোকানে আসলেও পর্যটক না থাকায় কাটেনি হতাশা।

সাজু মিয়া বলেন, ‘টাকা পয়সা এনে পণ্য ঢুকিয়েছি দোকানে। এখন মূল টাকা নিয়েও টানাটানি চলে। একটার পর একটা চলতেই আছে। এর আগে বন্যা গেল, এখন কারফিউ। পরপর চারটা এমন সমস্যা গেলো, ব্যবসাই করতে পারছি না। এখন আমরা অসহায় হয়ে গেছি।'

জেলায় পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত কয়েক হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সব জায়গায় একই পরিস্থিতি হওয়ায় সবার অবস্থাই সাজু মিয়ার মতো।

ব্যবসায়ীরা বলছেন প্রতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সিলেটে পর্যটন ব্যবসা জমজমাট হলেও চলতি বছরে নানা দুর্যোগ আর সংকটে পর্যটন খাতেই ক্ষতি হয়েছে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। এমন অবস্থায় হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে সরকারের সহায়তা চান সংশ্লিষ্টরা।

সিলেটের দ্যা সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে যে ক্ষতি হয়েছে, এটা থেকে কাটিয়ে ওঠার মতো পরিস্থিতি এখন সিলেটের পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িতদের নেই। সরকার যদি এখানে সাহায্যের হাত না বাড়ায় তাহলে সবাইকে পথে বসতে হবে।'

সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট অঞ্চলে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর বর্তমানে দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। বিগত কয়েকদিনে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা শিগগিরই কাটিয়ে না উঠতে পারলে ভবিষ্যৎ অনেকটা অন্ধকার , বলছেন ব্যবসায়ীরা।

এসএস