প্রবাস
0

দুবাইয়ে ৮শ হেক্টর জায়গাজুড়ে অবস্থিত বিশাল আবাসন প্রকল্প 'ইন্টারন্যাশনাল সিটি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৮শ হেক্টর যায়গা জুড়ে অবস্থিত বিশাল আবাসন প্রকল্প 'ইন্টারন্যাশনাল সিটি'। ভিন্নধর্মী এই শহরটি ১০টি দেশের নামে আলাদা ক্লাস্টারে বিভক্ত। বিশাল এই আবাসন প্রকল্প ঘিরে গড়ে উঠছে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ফলে, ভিনদেশীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বাংলাদেশিদের সংখ্যাও।

স্বল্প ব্যয়ে আবাসন নিশ্চিতের লক্ষ্যে দুবাইয়ের প্রাণকেন্দ্রে ২ দশক আগে নির্মাণ করা হয় ইন্টারন্যাশনাল সিটি। ৮শ' হেক্টর জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে বিভিন্ন উচ্চতার ৪শ' ৮৫টি ভবন। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া ও চীনসহ দশটি দেশের নামে আবাসন প্রকল্পটি বিভক্ত দশটি আলাদা ক্লাস্টারে। যেখানে বসবাস করছেন এক লাখেরও বেশি নাগরিক।

আবাসন প্রকল্পটির একদিকে দুবাইয়ে বিখ্যাত সবজি বাজার, অন্যদিকে চীনা শপিং মল ড্রাগন মার্ট। এই দুই যায়গায় কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশই বসবাস করেন এখানে। অনেকেই আবার থাকেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। কর্মস্থল সূত্রে অনেকের কাছে এটি বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা।

প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘এখানে বেশির ভাগই বাংলাদেশি যার ফলে এখানে বাংলাদেশিদের সাথে মিশে থাকা যায়।’

বিশাল এই শহরটি ঘিরে আয়ের পথ সুগম হচ্ছে আবাসন ব্যবসায়ীদের। এছাড়াও, এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিচালনা করছেন সুপার শপ, হোটেল ও রেস্তোরাঁ। এমন একটি রেস্তোরাঁয় ২০০৯ সালে কাজ শুরু করেন আবদুল মান্নান। দিনে ৩ হাজারের বেশি চা বিক্রির পাশাপাশি রেস্তোরাঁ থেকে আয় হয় প্রায় এক লাখ টাকা। তার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সারাদিন ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকে।

আবদুল মান্নান বলেন, ‘বিকেল বেলা যে চা বিক্রি হয় তা প্রায় তিন হাজার কাপের কাছাকাছি বিক্রি হয়।’

রেস্তোরাঁয় কর্মরত একজন বলেন, ‘আমাদের এখানে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের কাস্টমার এখানে আসে।’

কর্মস্থলের কাছাকাছি হওয়ায় বসবাসের জন্য ইন্টারন্যাশনাল সিটি বেছে নিয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি শহরটিতে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও বসবাস করেন। মনোরম পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিবেচনায় ইন্টারন্যাশনাল সিটি এখন সবার কাছে সমাদৃত।

tech