নিরাপত্তার স্বার্থে ইতোমধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রাঙ্গনে। মিনার বেদি আর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা সরঞ্জাম।
সেইসাথে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয় ট্রাফিক পরিকল্পনা। বলা হয় ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শাহবাগ, হাইকোর্ট ও নীলক্ষেতসহ শহীদ মিনারের চারপাশের ১৩টি ক্রসিং।
যেসব সড়কে প্রবেশ নিষেধ।
যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিকল্পপথের কথাও জানানো হয় ডিএমপির পক্ষ থেকে। নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে পায়ে হাঁটা রাস্তা ও পার্কিংয়ের স্থান।
সোমবার শহীদ মিনার এলাকা পরিদর্শন করেন ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল। ডিএমপি কমিশনার জানান, কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই এবার। তবে থাকবে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
রাজধানীতে যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, 'আমাদের কাছে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তারপরও পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গা নিয়ন্ত্রিত থাকবে কোনো কোনো দিক দিয়ে গাড়ি এখানে ঢুকতে পারবে। সাধারণত পলাশীর মোড় দিয়ে এখানে আসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং বাহির হওয়ার রাস্তা গুলো নিদিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।'
পায়ে হেঁটে চলাচলের সড়ক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এবার একুশের একুশ নামে থাকবে বিশেষ প্রদর্শনী। শৃঙ্খলা রক্ষা ও শব্দ দূষণ রোধেও ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ঢাবি প্রশাসন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভাবগাম্ভীর্য এবং মর্যাদার সাথে অমর একুশ পালনের লক্ষে শহীদ মিনার এলাকায় কোনো মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না এবং শহীদ মিনার এলাকায় ব্যানার, পোস্টার বা ছবি টানানো যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট ২১ বার সরকার প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।'
গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান।
একদিন পরই একুশের প্রথম ঘন্টা থেকে কণ্ঠে চির অম্লান সেই গান, 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গেয়ে সর্বস্তরের মানুষ ধীর পায়ে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবেন।