এ ক্ষোভ পতিত স্বৈরাচারের প্রতি ছাত্র জনতার। যে স্বৈরাচারের নির্দেশে কেড়ে নেয়া হয়েছে হাজারো মানুষের প্রাণ।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিগত ১৬ বছরের লুটপাট, গুম, খুন আর দুঃশাসনের প্রতি তীব্র ঘৃণা। তাই তো এর নাম এখন ঘৃণা স্তম্ভ। সেই ঘৃণা স্তম্ভে মনের সকল ক্ষোভ একত্রিত করে জুতা নিক্ষেপ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার ছবিতে লাল রঙের ছোপ দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে দেয়া হয়। ছবিটি জনতার ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতীক হয়ে ওঠে।
কিন্তু সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মুছে ফেলা হয় শেখ হাসিনার এই গ্রাফিতি। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সর্বমহলে। দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাফিতি অঙ্কন করতে চাইলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আগেই পুনঃ অঙ্কন করে স্বৈরাচারের ব্যঙ্গচিত্র।
আজ (সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই শেখ হাসিনার গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্র জনতা। তারা বলছেন, যতবার মুছে দেয়া হবে ততবারই অঙ্কন করা হবে জুলাই বিপ্লবের প্রতীকী চিহ্ন।
ছাত্রদের অভিযোগ, মানুষের মন থেকে শেখ হাসিনার রক্তমাখা ছবি মুছে দিতে বারবার অপচেষ্টা হয়েছে। ৩ জুলাইয়ের ছবিটি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মানুষের সাহস ও ঘৃণার প্রতীক ছিল। তবুও ভবিষ্যতে এই অপচেষ্টা রুখতে এই ঘৃণাস্তম্ভকে স্থায়ী স্মারক হিসেবে দেখতে চান জুতা নিক্ষেপকারীরা।
এদিকে জুতার মালা গলায় পড়িয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারায় শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছে ছাত্রদল ও সাধারণ ছাত্র-জনতা। এসময় জুলাই-আগস্ট গণ হত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকে তারা।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গুম, খুন, লুটপাটের পথ বন্ধ করে আগামীর ক্ষমতাসীনদের স্বৈরাচার হয়ে উঠবার পথ বন্ধ করতে পারলেই এই ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণ সার্থক হবে বলে মনে করে জুতা নিক্ষেপকারীরা।