সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান থেকে তিন দেশের কাছ থেকে এমনই আশ্বাস মিলেছে। আর অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মনে করেন, সংকট কাটিয়ে ফের দেশের অর্থনীতিতে গতি ফিরছে।
জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) দাবি করছে, ১৯৭৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৮টি প্রকল্পে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। যার মধ্যে এখন চলমান আছে ৭টি প্রকল্প।
নতুন সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার রাষ্ট্রদূত ও প্রধানদের যে ধারাবাহিক সৌজন্য বিনিময় চলছে সচিবালয়ে, তার অংশ বলা যায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল কৃষি নিয়ে কাজ করা ইফাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধির এই সাক্ষাৎ। এ বৈঠক শেষ করে ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আর্নো হ্যামেলিয়ার্স জানান, বিভিন্ন সূচকে ক্রমেই ভালো করছে বাংলাদেশ।
পরে এ নিয়ে ব্রিফ করেন অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিজার্ভ সংকটসহ যেসব সমস্যা ছিল বাংলাদেশের, তা কাটিয়ে উঠে আবার অগ্রযাত্রায় ফিরেছে দেশের অর্থব্যবস্থা।
তিনি বলেন, 'আমাদের তো অনেক পার্টনার আছে। জাপান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) আছে। এছাড়াও সারা দুনিয়াতে আমাদের পার্টনার আছে। তারা তাদের আইডিয়া নিয়ে আসেন। তারপর সবার কথা একসাথে মিলেমিশে আমরা একটা রাস্তা বের করি।'
একই দিন সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দপ্তরে সৌজন্য বিনিময় করতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি। বৈঠক শেষে বিদেশি এ কর্মকর্তা বলেন, তারা বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী। এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারও চায় বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে, তবে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিরাগভাজন করে নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'রাশিয়ার সাথে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি ফিরিয়ে বন্ধুত্ব হোক তা আমরা চাই না। আমরা সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। যে সম্পর্ক আছে সে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চাই। '
এ দিন সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এডিবি'র প্রতিনিধিদল। এছাড়া অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত এবং ফ্রান্সের জলবায়ু বিষয়ক দূত।