২৫ বছর পর তুষারপাতের সাক্ষী হলো টেক্সাসবাসী। তাই নারী থেকে পুরুষ, শিশু এমনকি বৃদ্ধরাও মেতেছেন স্নো বল ফাইটে। কাজের ফাঁকে একটু বিরতিতে এই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন হিউস্টন পুলিশের সদস্যরা।
আনন্দের মাঝে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ শীতকালীন ঝড়ে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। যুক্তরাষ্ট্রের গালফ উপকূল সংলগ্ন ৯টি অঙ্গরাজ্য টেক্সাস, লুইজিয়ানা, আলাবামা, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়া ও নিউইয়র্ক যেন পরিণত হয়েছে ডিপ ফ্রিজে। তীব্র তুষার ঝড়ের সতর্কতার আওতায় রয়েছে সাড়ে ৪ কোটির বেশি বাসিন্দা।
আমি বাফালোতে জন্ম নিয়েছি। বড় হয়েছি নিউইয়র্কে। সেখানে পা তুষারে ঢেকে থাকতো। এখন হিউস্টনেও একই অবস্থা দেখছি।
আমি হাসপাতালে কাজ করি। এখন সারাদিন রাত কাজ করতে হচ্ছে। কারণ প্রায়ই মানুষজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, দুর্ঘটনাও ঘটছে।
একদিনে সর্বোচ্চ তুষারপাতের ১৪৩ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে আলাবামা। ফ্লোরিডায় ও লুইজিয়ানায় ভেঙ্গেছে ৬০ বছরের বেশি সময়ের রেকর্ড। ১৮ ইঞ্চির তুষারপাত দেখেছে নিউইয়র্ক বাসী।
বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোয় একদিনে তুষারপাতের পরিমাণ ছিল ৩ থেকে ১০ ইঞ্চির মধ্যে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিরল এই তুষার ঝড়ে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে সড়ক। শুধু টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতে একদিকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে দেড় শতাধিক যানবাহন।
বিপজ্জনক এই আবহাওয়ায় প্রভাব পড়েছে আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থায়। রানওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মঙ্গলবার বাতিল করা হয়েছে আড়াই হাজারের বেশি ফ্লাইট। বিলম্বিত ফ্লাইটের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। চরম ভোগান্তিতে বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, তুষার ঝড়ের দাপট চলতে পারে পুরো সপ্তাহ জুড়ে। ওমাহা, নিউ অরলিন্স ও হিউস্টনসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন বিরল শীতকালীন ঝড় নিয়মিত ভিত্তিতে দেখা যাবে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।