দেশে এখন
0

মিয়ানমার থেকে রকেট গ্রেনেড পড়ছে বাংলাদেশে

বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের সড়কে আবারও পড়েছে মিয়ানমার থেকে ছোড়া ২টি রকেট গ্রেনেড। মধ্যরাত থেকে ব্যাপক গোলাগুলিতে কেঁপে উঠেছে কক্সবাজারের হোয়াইকং এলাকা। গুলি এসে পড়েছে বসতবাড়ি আর মার্কেটে। উপার্জন বন্ধ থাকায় বেকায়দায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

বান্দরবানের তুমব্রু সীমন্তের সড়কে পড়ে থাকছে রকেটে ছোড়া গোলা। গত ২ দিনে এমন আরও দুটি গ্রেনেড ও একটি মর্টারশেল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।

কোনটি সড়কে আবার কোনটি ফসলের মাঠে পড়ে আছে। এতে আবারও আতংক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। এছাড়া থেমে থেমে আসছে গুলির শব্দ।

স্থানীয়া বলেন, 'আমরা ঐখানে চাষবাদ করি, গরু-ছাগল ঘাস খাইতে যায়। কিন্তু এখন যাইতে পারতেছি না। গুলির শব্দে এলাকার সবাই ভয়ে আছে। আজকে আবার শুনতেছি মিয়ানমারের বাহিনী বিমান হামলা করতে পারে।'

এদিকে গতরাতে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইকং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কুমিরখালী ক্যাম্পে আক্রমণ করে বিদ্রোহীরা। ভোররাত পর্যন্ত ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠে হোয়াইকং, উনচিপ্রাং এলাকা। বাসাবাড়ি, মার্কেটে গুলি এসে পড়লেও আহত হননি কেউ। তবে আতংকে আছেন বাসিন্দারা। এদিকে টেকনাফ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।

মিয়ানমারের চলমান সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের জীবনযাত্রা আর অর্থনীতিতে। উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক দিনমজুর ও চাষিরা।

শ্রমজীবীরা বলেন, 'আমরা গোলাগুলির শব্দে খুব আতংকের মধ্যে আছি। আমরা ঠিকমতো খাইতে পারতেছি না, চলতে পারতেছি না। নাফ নদীতে মাছ ধরতাম, এখন গোলাগুলির কারণে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে।'

এদিকে কক্সবাজার সীমান্তে যুদ্ধ গড়ানোয় নিরাপত্তার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে সীমান্ত ঘেঁষা নাফ নদীতে। তবে ইনানী ও চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ২টি জাহাজ পর্যটক নিয়ে ছেড়ে যাবে।

এদিকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় দেশটির বিভিন্ন বাহিনীর অন্তত ৩৩০ সদস্য। যারা নিজ দেশে ফেরার প্রক্রিয়ায় আছেন।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর