২০০১ সালে দেশে নিপাহ ভাইরাস শনাক্তের পর ২২ বছরে ৩৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৪০ জনই প্রাণ হারিয়েছেন। ২০০৪ সালে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর পর ২০১১ সালে ৩৭ জন মারা যায়। এরপর ২০১৩ সালে ২৫ জন ও ২০১৪ সালে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। পরের বছরগুলোতে মৃত্যু ২ জনে নামলেও ২০২৩ সালে এসে আবার ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আইইডিসিআর-এর উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. শারমিন সুলতানা বলেন, ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি বছরই নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পেয়েছি। এ ভাইরাসে কখনও বেশি মারা গেছে, আবার কখনও কম মারা গেছে।
কিন্তু আশঙ্কার খবর হচ্ছে, অন্যান্য বছরে একই জেলায় বারবার আক্রান্ত হলেও ২০২৩ সালে প্রথম ৭টি জেলা আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে যুক্ত হয় নরসিংদী, তবে প্রতিবছর নওগাঁ ও রাজবাড়ীতে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ও মৃত্যু হয়ে থাকে।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, মূলত বাদুড়ের লালা ও মলমূত্র থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি, যা খেজুরের রসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে আসে। তবে এবারই প্রথম মায়ের বুকের দুধেও মিলেছে নিপাহ ভাইরাস। যা মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে এসেছে।
ডা. শারমিন সুলতানা বলছেন, কেউ যেন খেজুরের কাঁচা রস না খায় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
এ ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিন বা কার্যকরী ওষুধ না থাকায় দেশে মৃত্যুহার ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ। যদিও কোন কোন দেশে এই হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ইতিহাস থাকা পরিবারের কারো জ্বরসহ মাথাব্যথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা ও অজ্ঞান হওয়ার ঘটনা ঘটলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছে আইইডিসিআর।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত বছরও এখানে দুই জন রোগী ভর্তি ছিলেন এবং তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এ বছরও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’