কৃষি
দেশে এখন
0

সোনালি আঁশের রুপালি কাঠি, বাণিজ্য শত কোটির

সোনালি আঁশের কদর বহুদিন ধরেই রয়েছে কৃষিনির্ভর জেলা ফরিদপুরে। তবে চার-পাঁচ বছর আগেও অবহেলা আর অনাদরে পাটকাঠি পড়ে থাকতো গ্রামের মেঠোপথ বা বাড়ির আঙিনার কোণে। সাধারণত মাটির চুলায় রান্না আর পানের বরজের ছাউনি তৈরিতে ব্যবহার হতো পাটকাঠি। তবে বর্তমানে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহারে বেড়েছে এর চাহিদা।

পানি সংকটে চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলার চাষীরা উৎপাদিত পাট জাগ দিতে সমস্যায় পড়েন। তাই পাটের রং ভালো না হওয়ায় বিক্রি হয়েছে কিছুটা কম দামে। তবে সোনালি কাঠিতে সেই ক্ষতির কিছুটা পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন চাষীরা।

জেলার সর্বত্র এখন চলছে পাটকাঠির পরিচর্যা ও কেনাবেচার কাজ। দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে কিনছেন রুপালি কাঠি। একশ আটি পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৫শ' থেকে ৬শ' টাকায়।

চাষিরা বলেন, 'পাটকাঠি বিক্রিতে আমাদের আয় বেড়েছে। বাইরে থেকে অনেক লোক এই পাটকাঠি কিনতে আসে।'

ক্রেতারা বলেন, 'রাজশাহীর পানের বরজে পাটকাঠির চাহিদা অনেক। এখানে দাম কম হওয়ায় এসেছি।'

কৃষি বিভাগ বলছে, এই জেলায় চলতি মৌসুমে ৮৮ হাজার ৯২৯ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ১ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত পাট থেকে পাওয়া যায় ১৫ হাজার টাকার কাঠি। সেই হিসাবে চলতি বছর পাটকাঠি থেকে বাণিজ্য হবে একশ' কোটি টাকার বেশি।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার এখন টিভিকে বলেন, 'পাটের পাশাপাশি পাটকাঠির চাহিদাও বেড়েছে। পাট দিয়ে নানা ধরনের দ্রব্য তৈরি হচ্ছে। পাটকাঠি থেকে দাপ্তরিক সরঞ্জামাদিও তৈরি হচ্ছে। এতে অথনৈতিক মূল্যও প্রায় সমান হয়ে গেছে।'

গেল বছর জেলায় ৮৭ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়।