পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার অলংকারকাঠী গ্রাম, যেখানে গড়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের সব থেকে বড় ফল ও ফুলের চারার বাজার। আর এই বাজার ঘিরে সন্ধ্যা নদীর তীরঘেঁষা স্বরূপকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের দুই পাশে তৈরি হয়েছে অসংখ্য নার্সারি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম। প্রায় ৩০ বছর আগে ৩৩ শতাংশ জায়গায় শুরু করলেও বর্তমানে ২ একর জায়গায় গড়ে তুলেছেন ৫টি নার্সারি। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫শ'টি নার্সারি গড়ে উঠেছে এখানে।
আর পুরো অঞ্চলে রয়েছে প্রায় হাজার খানেক নার্সারি। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো মানুষের। অন্য ফসলের তুলনায় লাভ হওয়ায় প্রতিনিয়ত ফুল ও ফলের কৃষি নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তা বাড়ছে।
উদ্যোক্তাদের একজন বলেন, ‘বিঘা প্রতি ধান চাষ করলে আমাদের ৩০ হাজার টাকা আসে। আর যদি তিন বিঘাতে এই নার্সারি করা হয় তাহলে আমার বছরে ব্যয় বাদ দিয়ে মুনাফা থাকে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা।’
মৌসুমে এখান থেকে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার ফুল ও ফলের চারা বিক্রি হয়। তবে, সরকারি সহায়তা পেলে এই আয় আরো বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
উদ্যোক্তাদের আরেকজন বলেন, ‘ধানের বা কৃষির উপর সরকার যেভাবে সহযোগিতা করে সেভাবে যদি নার্চারিতে সরকারি সহযোগিতা করে তাহলে আমরা উন্নতি করতে পারবো।’
ফুল ও ফলের চারা কেনা ছাড়াও ছুটির দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় করেন এখানে। সুযোগ সুবিধা বাড়ানো গেলে জায়গাটি দেশের অন্যতম কৃষি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে মনে করেন তারা।
দর্শনার্থীদের একজন বলেন, ‘এখানে যদি বসার জায়গা বাড়ানো হয় তাহলে পর্যটক আসার সম্ভাবনা আছে।’
নার্সারি ব্যবসা আরো এগিয়ে নিতে কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চপল কৃষ্ণ নাথ বলেন, ‘আমাদের এখানে সকল ব্যাংকে কথা বলা আছে তাদের চাহিদা মাফিক যেন ঋণ প্রদান করে।’
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আকলম, কুনিয়ারী, সুলতানপুর, পানাউল্লাপুর, সংগীতকাঠি ও আরামকাঠিসহ ১০ থেকে ১২টি গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে নানা প্রজাতির ফুল ও ফলের চারা।