এর আগে, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৫ মিনিটে (স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে) কিংস্টনের বাসা থেকে সপরিবারে বের হন তারেক রহমান। সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ কয়েকজন।
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপি মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, তারেক রহমান তার লন্ডনের বাসভবন থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত সোয়া দশটা নাগাদ হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। সঙ্গে তার স্ত্রী ও মেয়েও রয়েছেন।
ওয়ান-ইলেভেন সরকার ২০০৭ সালে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এরপর থেকে সেখানেই আছেন। লন্ডন থেকেই দল পরিচালনা করে আসছেন তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় পর তিনি দেশে ফিরছেন।
আরও পড়ুন:
সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে তার ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ছাড়বে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা নাগাদ পা রাখবেন দেশের মাটিতে।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে তার নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বিএনপির এ নেতার সংবর্ধনা উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
বুধবার বিএনপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকায় তাকে স্বাগত জানাবেন দলের সিনিয়র নেতারা। এরপর তিনি ৩০০ ফিট রাস্তায় সংবর্ধনাস্থলে ভাষণ দেবেন। এরপর হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখে গুলশানের বাসায় যাবেন।
তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তার দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সংবর্ধনাস্থলে বুধবার রাতেই অনেকের জড়ো হয়েছেন।
এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তার বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’





