গতকাল (শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর) সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক ড্রোন হামলা পরিচালনা করা হয়। এ হামলায় দায়িত্বে থাকা ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহিদ হন এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হন।
সুদানে শহিদ শান্তিরক্ষীদের নাম
কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, এএসসি, তার বাড়ি নাটোর; সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, বীর, তার বাড়ি কুড়িগ্রাম; সৈনিক শামীম রেজা, বীর, তার বাড়ি রাজবাড়ি।
এছাড়া সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর, গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম; মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বাড়ি কিশোরগঞ্জ; লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া, গাইবান্ধা জেলা থেকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
সুদানে আহত শান্তিরক্ষীদের নাম
লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডিন্যান্স (কুষ্টিয়া); সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর); কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগন্যালস (ঢাকা); ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা)।
আরও পড়ুন:
এছাড়া সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জি. (রংপুর); সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ); সৈনিক মো. মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)।
আহতদের চিকিৎসা করা হচ্ছে জানিয়ে আইএসপিআর জানায়, আহতদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এর মধ্যে তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এছাড়াও আহত অন্য সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তারা সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শহিদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেছে সেনাবাহিনী।
শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।





