তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ কর্মচারীরা বেশি স্মার্ট। তারা ব্যাংকারের চেয়েও বড় ব্যাংকার। তারা দুর্নীতি করার জন্য নানা উপায় বের করে। তারা অতিরিক্ত স্মার্ট। তাদের বিলাসী জীবনে পরিচিতরা হতাশাগ্রস্ত হয়।’
এ সময় রাজনীতিবিদরা ঠিক থাকলে সহজে সমাজে পচন ধরবে না এবং দুর্নীতি কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু শাস্তি দিয়েই নয়, সামাজিকভাবে দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধ করলে দুর্নীতি কমে আসবে। দুর্নীতি বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আগে দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে সামাজিকভাবে এড়িয়ে চলা হতো। দুর্নীতিবাজদের খারাপ লোক হিসেবে ঘৃণা করা হতো। মেয়ে বিয়ে দিতে চাইত না, এখন টাকা আছে লাফ দিয়ে বিয়ে দিতে যায়, অনুষ্ঠানে সম্মান জানাতে যায়।’
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সবচেয়ে বড় জিনিস। আমি একটা কাজ করব, সেটা কেন করছি, কার জন্য করছি সেও জানবে৷ আর জবাবদিহিতা থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই যে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেলো তাদের শাস্তি কী দিবেন? সারাজীবন জেলে থাকলেও তো শাস্তি হবে না, দেশের ক্ষতি পূরণ হবে না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক ড. এ কে এনামুল হক।





