রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে হাতিয়ার বানিয়ে দুর্নীতিকে নীতিতে পরিণত করা হয়েছে: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি | ছবি: সংগৃহীত
0

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে হাতিয়ার বানিয়ে দুর্নীতিকে নীতিতে পরিণত করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর) সকালে গণসংহতি আন্দোলনের হাতিরপুল প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত সম্পদ আহরণের হাতিয়ার বানিয়ে দুর্নীতিকে নীতিতে পরিণত করা হয়েছে, যার সবচেয়ে গভীর বিস্তার ঘটেছে বিগত সরকারের সময়ে।’ এছাড়া তিনি দুর্নীতিকে বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাধি হিসেবে উল্লেখ করেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে দুর্নীতির ধরন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যেখানে রাষ্ট্র নিজেই দুর্নীতির ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছে। শ্বেতপত্র অনুযায়ী ওই সময়ে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচার হয়েছে। খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকায়, অবলোপন ও পুনঃতফসিল মিলিয়ে যা ছাড়িয়েছে চার লাখ কোটি টাকা। গণঅভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল লুণ্ঠিত অর্থ ফেরত এবং জড়িতদের বিচার হবে, কিন্তু বাস্তবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।’

আরও পড়ুন:

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির শিকড় দেশের আর্থ-রাজনৈতিক কাঠামোর গভীরে গেঁথে আছে। প্রশাসন, পুলিশ, ভূমি অফিস, রাজস্ব, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই দুর্নীতি একটি বাস্তুতন্ত্রে পরিণত হয়েছে।’

উত্তরণের জন্য জোনায়েদ সাকি কিছু কার্যকর প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে: অর্থনীতির উৎপাদনশীল রূপান্তর; দুর্নীতি দমন কমিশন ও অন্যান্য কমিশনগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা; ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কার, ই-টেন্ডার বাধ্যতামূলক করা, সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা। সঙ্গে তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের মতো ১১ দফা প্রস্তাবও উপস্থাপন করেন।

ইএ