এর আগে, দুপুরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এখন টেলিভিশনকে জানায়, কারিগরি ত্রুটির কারণে কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এ-৩১৯ আসছে না। তবে কাতার অন্য দেশ থেকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে দেবে।
এদিকে, খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান দুপুরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন যাত্রায় সঙ্গে থাকবেন তিনি।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে চার মাস পর ৫ মে একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফেরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তখনও তার সঙ্গে দেশে এসেছিলেন পুত্রবধূ জুবাইদা।
আরও পড়ুন:
গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে ভর্তি করা হয়। পরে ৩০ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে।
পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় এরমধ্যে যুক্তরাজ্য ও চীন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল দেশে এসেছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর) এভারকেয়ার হাসপাতালে তাদের নিয়ে বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড।
আরও পড়ুন:
বৈঠক শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে এভারকেয়ারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
খালেদা জিয়ার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি না- জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। আমরা আপনাদের আগেও বলেছি, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের বাইরে কোনো অবস্থাতেই উনার পরিবার অথবা আমরা দল কোনো অবস্থাতেই কোনো চিন্তা করছি না। আমরা এখনো আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ মেহেরবানিতে অনেক অনেক আশাবাদী।’





