গতকাল (বুধবার, ৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দীতে জেলা জামায়াত কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানান তিনি।
এর আগে, সন্ধ্যায় মেহেরপাড়া ইউনিয়নের শেখেরচর বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত নির্বাচনি সভায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাত ৮টার দিকে জেলা শহর ও পলাশে বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন।
অপরদিকে, উল্টো দাবি করেছেন ইউনিয়ন বিএনপি। তারা জানিয়েছেন, হামলায় তাদের ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘শুরু থেকেই বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সভায় বাধা সৃষ্টি করছিলেন। তারা মঞ্চের পেছনে গিয়ে গালিগালাজও করেছে। স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে প্রথমে তারা সরে গেলেও, সভা শেষে ফের ৭০–৮০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।’
আরও পড়ুন:
মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতীদলের নেতা বখতিয়ার হোসেন, যুবদল নেতা ইফতিখার আলম, শাহরিয়ার, সিয়ামসহ অন্তত ৪০ জন এ হামলার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হলেও মাধবদী থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
এদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, উল্টো জামায়াতের হামলায় তাদের পাঁচ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘বিএনপি ও জামায়াতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কতজন আহত হয়েছেন তা জানা নেই। উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেবে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’





