টানা ৩ দিনের নিরুত্তাপ সংলাপের পর চতুর্থ দিন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ ১২টি রাজনৈতিক দলকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানায় নির্বাচন কমিশন। গতকাল (বুধবার, ১৯ নভেম্বর) দিনের শুরুতে সংলাপের প্রথম পর্বে অংশ নেয় জামায়াত-এনসিপিসহ ৬টি দল।
সূচনা বক্তব্যে নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে দলগুলোকে ভূমিকা নিতে হবে।
সিইসি বলেন, ‘শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, আপনারা সবাই কিন্তু জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ একটা সুন্দর, ক্রেডিবল ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য।’
ইসির সংলাপে অংশ নিয়ে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ‘আচরণবিধি প্রতিপালন করানোর ক্ষেত্রে দ্বিধায় ভুগছে ইসি।’ এক্ষেত্রে ইসির সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে এনসিপিসহ অন্য দলগুলো।
শিশির মনির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দ্বিধায় ভুগছে। কোথা থেকে আপনারা এরকম দ্বিধায় ভোগেন আমি জানি না। আপনারা একদিকে বলছেন করতে পারবেন। তবে করতেই যদি হয়, সেটা কে করবে? ডিসি সাহেব তো! রিটার্নিং অফিসার তো ডিসি। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের ডিসি করবেন, সিলেটের ডিসি করবেন না; বগুড়ার ডিসি করবেন, ফরিদপুরের ডিসি করবেন না— ক্যাওয়াজ হবে।’
এনসিপির যুগ্ম-সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, ‘এখানে এমন একটা অন্যায্য আইনের বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে, যেটা বাস্তবায়নের ম্যাকানিজম ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই।’
আরও পড়ুন:
সংলাপে প্রতি ভোটকেন্দ্রে অন্তত ৫ জন সেনা সদস্য মোতায়েন করার আহ্বান জানানো হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘একজন সেনা সদস্য একটি কেন্দ্রে দিলে সেটা পরিবেশের জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হয় না। সংখ্যাটা একটু বৃদ্ধি করা যেতে পারে, অর্থাৎ ৫ জন সেনাসদস্য একটি ভোটকেন্দ্রে।’
প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে অস্ত্র উদ্ধারে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানায় রাজনৈতিক দলগুলো, কথা বলেন জোটভুক্ত প্রতীকের বিধিনিষেধ নিয়ে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ, আনসারসহ যারা থাকবেন, সেটার একটা নিদিষ্ট সংখ্যা আমাদের জানাতে হবে।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘একটা দলীয় প্রতীক কিন্তু একটা দলকে রিপ্রেজেন্ট করে থাকে। আমরা আপনাদের অনুরোধ করবো, আপনারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে কোনো বড় দলের কাছে আপনারা নতি স্বীকার করবেন না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রবাসীর কীভাবে গণভোটে অংশ নেবে, তা পরিষ্কার নয়। এছাড়া ৩০০ সংসদীয় আসনে গণভোটের জন্য আলাদা বুথেরও তাগিদ দেন তারা।





