বাংলাদেশে বাড়ছে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ

চীনের মহাপ্রাচীর
চীনের মহাপ্রাচীর | ছবি: সংগৃহীত
0

শুধু অর্থনীতি কিংবা কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, সময়ের সঙ্গে চীন ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় হারও বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দাবি, চীনা ভাষা শেখায় আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে বাংলাদেশে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে দেশটির সংস্কৃতি ও শিক্ষার প্রভাবও পড়বে বিশ্বজুড়ে।

কাব্যিক অভিযাত্রা তবে বাস্তব অনুভূতি। যেন সিনেমা হলে বসেই মহাকাশযাত্রার সাক্ষী হলেন দর্শকরা। যেখানে বিজ্ঞান ও সৌন্দর্য মিশে গেছে এক সুতোয়। বলছি চীনের মহাকাশভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ‘শেনচৌ–থার্টিন’ এর কথা।

সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিসহ ৩৫টির বেশি দেশের মতো বাংলাদেশেও দেখানো হয়েছে। চীনের তৈরি পণ্যের মতো দেশটির সংস্কৃতিও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সারাবিশ্বে। আর এ সংস্কৃতি ও ভাষার প্রচারে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা পরিচালক ড. ইয়াং হুই মনে করছেন চীনা সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষ্টির মিল রয়েছে। তাতে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও কবিতা উৎসবের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাড়িয়েছে। এ গবেষকের দাবি, চীনা ভাষা শেখায় আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে বাংলাদেশে।

আরও পড়ুন:

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে দেশটির সংস্কৃতি ও শিক্ষার প্রভাবও পড়ছে বিশ্বজুড়ে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘চীনের প্রভাব থাকবেই। সেটা অর্থনীতি সংস্কৃতি, শিক্ষার প্রায় সবক্ষেত্রেই। কারণ এর বিশাল অর্থনীতি। একে থামানোর কোনো উপায় নেই এবং মনে রাখতে হবে ১.৩ বিলিয়ন মানুষ। এই বিশাল জনসংখ্যা যদি শিক্ষিত হয়, তার যদি একটা কালচারাল কন্টেস্ট থাকে, তার খাওয়া-দাওয়া যেটাকে আমরা চাইনিজ ফুড বলি এগুলোর প্রভাব পড়বেই এবং আমি কোনোভাবেই এটা থামাতে পারছি না। শুধু বাংলাদেশ নয়, এর প্রভাব বহু জায়গায় পড়বে।’

চীনে অর্ধশত স্বীকৃত জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও প্রথা রয়েছে।

এসএইচ