আ.লীগের কর্মসূচি ঘিরে বেড়েছে নাশকতা, শহরজুড়ে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে ঢাবি শিক্ষার্থীরা | ছবি: এখন টিভি
0

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীজুড়ে বেড়েছে নাশকতা। রাতেও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ধোলাইপাড় ও মিরপুরে বাসে এবং তেজগাঁওয়ে পরিত্যক্ত ট্রেনের কোচে দেয়া হয় আগুন। শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। টহল দিতে দেখা গেছে বিজিবি ও সেনাবাহিনীকেও। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে রাজধানীতে সতর্কাবস্থানে থাকবে তারা।

২৪ এর জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়ের দিন ধার্য করা কেন্দ্র করে ১৩ নভেম্বর লকডাউনের ঘোষণা দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গেল কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ আর বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বুধবার সন্ধ্যা থেকেও নাশকতা চালানো হয় বিভিন্ন জায়গায়।

রাজধানীর ধোলাইপাড় ও মিরপুরে বাসে এবং তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত কোচে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় আটক করা হয় দুইজনকে।

আগুনের পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে মিরপুর, শান্তিনগর, মৌচাক, কারওয়ান বাজার, টিএসসিসহ বেশকিছু এলাকায়। মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬টি পেট্রোল বোমা ও ৪টি ককটেল।

আরও পড়ুন:

এদিকে, ডাকসু নেতারা জানান, রাতভর ঢাবি এলাকায় থাকবে তাদের তৎপরতা। সকাল থেকে ছাত্রজনতার সঙ্গে রাজধানীজুড়ে সতর্ক থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘জুলাইয়ে শহিদরা যে জন্য জীবন দিয়েছে একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইনশাআল্লাহ তা হবে। সকল গণহত্যার বিচার হবে এবং এ রাষ্ট্র সংস্কার হবেই। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না। আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব।’

ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের যত দোসর আছে তাদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসেন। এটাকে পুনর্গঠন করুন যাতে কোনো দুষ্কৃতিকারী আর কোনো দুষ্কর্ম করার সাহস না করতে পারে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদী বলেন, ‘৫ থেকে ৮ আগস্ট ইনসাফের কথা চিন্তা করে আমরা একটা ফুলের টোকাও কাউকে দিই নি। যেহেতু এখন দিল্লিতে বসে টুকপাক শুরু হয়েছে বিচারের আগে সুতরাং আমরা কাজা কাফফারাসহ এবার আদায় করতে চাই।’

বিচার বিলম্বিত করতে ও বিদেশে বসে দেশকে অস্থির করতেই এমন চক্রান্ত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা।

ইএ