স্বাধীনতার পরে দাতা সংস্থার পরামর্শে একের পর এক সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে বেহিসেবি লুটপাট, সড়কে বেপরোয়া চাঁদাবাজির নজির দেখা যায়। বহুমাত্রিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিবর্তে একের পর এক নতুন সড়ক নির্মাণ করে ৮০ শতাংশ মানুষের যাতায়াত সড়ক নির্ভর হয়ে পড়ে। পাল্লা দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনাও বেড়েছে ৮০ শতাংশ।
এসব অভিযোগ উঠে আসে যাত্রীকল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে। তাদের হিসেবে, ২০১৪ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিগত এক যুগে দেশে প্রায় ৬৮ হাজার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় এক লাখ ১৬ হাজার নিহত ও এক লাখ ৬৫ হাজার আহত হয়েছেন। এ পরিসংখ্যানকে ‘সড়কে গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের নীতি ও কৌশল পরিবর্তন না হওয়ায় এমন দুর্ঘটনার লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে সড়কে গণহত্যা বন্ধে, যানজট ও দুর্ঘটনা কমানো, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ২০১৫ সালে যখন প্রথম ব্যাটারিযুক্ত হয়ে রাস্তায় নামছিল তখনই বলেছিলাম যে এ অটোর কারণে আমাদের বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে, এখনই থামান। কিন্তু বিগত সরকার আমাদের বক্তব্য শোনেনি।’
সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বারো দফা সুপারিশও দেয়া হয় যাত্রীকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে। হারিয়ে যাওয়া নৌ ও রেলপথের সমন্বিত যাতায়াত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, চাঁদাবাজি ও অনিয়ম-দুর্নীতি, মালিক-শ্রমিকদের দৌরাত্ম্য বন্ধে পরিবহনখাত আপাদমস্তক সংস্কারসহ নানা সুপারিশ ঠায় পায় সেখানে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়ে রাস্তায় নামানোর উদ্যোগ নিলে এক বছরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর অচল হওয়ার শঙ্কার কথা জানায় সংগঠনটি।





