আজ (শুক্রবার, ৩ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ফেসবুক পেজ থেকে করা এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআরের এ পোস্টে বলা হয়, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে নৌবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফের গহীন পাহাড়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে অপহরণের শিকার নারী ও শিশুসহ ৩৯ জনকে উদ্ধার এবং ২ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
পোস্টে আরও বলা হয়, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে নৌবাহিনীর বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডসের কমান্ডোদলসহ কোস্টগার্ডের আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। এসময় মানবপাচারকারী চক্র সদস্যরা অভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন:
পরবর্তীতে গহীন পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চালিয়ে পাহাড়ের কয়েকটি স্থান হতে অপহরণের শিকার নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৩৯ জনকে উদ্ধার করা হয় বলেও জানানো হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে রয়েছে ১৮ জন রোহিঙ্গা নারী, ১১ জন রোহিঙ্গা পুরুষ, ৮ জন রোহিঙ্গা শিশু ও ২ জন বাঙালি পুরুষ।
উদ্ধারকারীরা জানান, পাহাড়ে একটি সঙ্ঘবদ্ধ মানব পাচারকারী দল বিভিন্ন সময়ে প্রলোভন দেখিয়ে ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তুলে এনে গহীন পাহাড়ে আটকে রাখে। আটকে রাখাদের মধ্যে কারো কারো কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি ও বিদেশে প্রেরণের কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং আটক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যদ্বয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও এ পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
আইএসপিআর এ পোস্টে উল্লেখ করে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ হতে ০২ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যৌথ অভিযানে মোট ১৩৪ জনকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। নৌবাহিনী তার দায়িত্বে থাকা এলাকা সমূহে মানবপাচার, চোরাচালানসহ যেকোনো ধরনের অপরাধ নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।





