সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। এতে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য বজায় থাকে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে টিসিবির চলমান বিক্রয় কার্যক্রমের সঙ্গে এ নতুন পাঁচটি পণ্য যুক্ত হলে দরিদ্র মানুষ আরও স্বস্তি পাবে এবং এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন:
তিনি টিসিবির কার্যক্রম গতিশীল করতে এবং এক কোটি উপকারভোগী সঠিকভাবে নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জোর দেন যে কোনো দরিদ্র মানুষ যেন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে না থাকে। তার প্রত্যাশা, প্রকৃত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কাছে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পৌঁছাবে। তিনি আগামী এক মাসের মধ্যে উপকারভোগী নির্বাচন ও কার্ড সক্রিয়করণে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন যে সঠিক উপকারভোগী শনাক্তকরণই মূল সমস্যা হিসেবে সামনে আসছে। একইসাথে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমে কিছুটা মন্থর গতি রয়েছে। তবে সমস্যা চিহ্নিত হওয়ায় দ্রুতই কাজটি সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় যে বর্তমানে টিসিবির মোট ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৬টি কার্ড সক্রিয় রয়েছে এবং ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৪টি কার্ড সক্রিয়করণের অপেক্ষায় আছে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান ও টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়শল আজাদ।





