এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের শৃঙ্খলা, সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহবান জানান এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুশাসন মেনে চলার জন্য বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও তিনি স্বাস্থ্য রক্ষা এবং রোগের বিস্তার রোধের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশিকা অনুসরণের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ও জাতিসংঘ নির্ধারিত সকল মেডিক্যাল প্রটোকল যথাযথভাবে পালন করার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, আজ (রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর) কঙ্গোতে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টটি নতুন কন্টিনজেন্ট দ্বারা প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর ১৯০ জন সদস্য জাতিসংঘের ভাড়াকৃত একটি বিমানে (ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স) কঙ্গোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এ কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন এয়ার কমডোর মো. এনামুল করিম, জিইউপি, এনডিসি, এডব্লিউসি, পিএসসি। কঙ্গোতে বিবদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে, সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের অর্জিত এ সুনাম ও সাফল্য অক্ষুণ্ণ রেখে শান্তিরক্ষীরা ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে যেন আরও উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারেন, এ কামনা করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এক মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান, ওএসপি, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি এবং বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে তাদের বিদায় জানান।—প্রেস বিজ্ঞপ্তি





