রাতের আকাশে লেজার শোতে ফুটে উঠলো জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবি

রাতের আকাশে লেজার শোতে ফুটে উঠলো জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবি
রাতের আকাশে লেজার শোতে ফুটে উঠলো জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবি | Ekhon tv
0

রাতের আকাশে ড্রোন-লেজার শোতে ফুটিয়ে তোলা হলো জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবি। মুগ্ধতা ছড়ালো নববর্ষের সমাপনী আয়োজন। এর আগে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বৈশাখী কনসার্ট মেতে ওঠে রাজধানীবাসী।


জাতীয় সংসদের সন্ধ্যার আকাশে জ্বলজ্বল করছে আবু সাঈদ। সেই আবু সাঈদ; স্বৈরাচারের বুলেটের সামনে বিস্তীর্ণ যার বাহু, বুক জুড়ে মুক্তির ঝড়। যে ঝড়ে ওলটপালট করে দিয়েছিলো তরুণ যুবক এদেশের ছাত্র জনতাকে। জনতার সেই উত্তাল সংগ্রামে "পানি লাগবে, পানি" বলে পানি হাতে চিৎকার করা সেই ছেলেটি।

আবার ভেসে উঠলো মুগ্ধ। মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশের পুনর্জন্মের এসব দৃশ্যপট যখন দেখছিল জুলাইয়ের যোদ্ধা জনতা, পবিত্র সংসদের ঠিক মাথার ওপর দেখা গেল জুলাইয়ের জনতার আন্দোলনকে স্যালুট করা সেই রিকশাওয়ালা সুজনকে।

পেছনে মুক্তির গান, দ্রোহের সুর, ২ হাজার ৬শ ড্রোনের আলোয় খেলায় মানুষ ভেসে গেল, ১৯৭১ এ গণমানুষের মুক্তির দিনগুলোতে। আঁকা হলো, ৭১ এর ধারাবাহিকতাই ২৪, এ আন্দোলনে নারীর অভূতপূর্ব নেতৃত্ব ও ভূমিকা।

দেখানো হলো বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের ক্ষণ থেকেই আল আকসার সংগ্রামকে হৃদয় দিয়ে ধারণ করে। নববর্ষের দিনে চীনা দূতাবাসের উপহার ড্রোন শো'র আয়োজনে দেখানো হলে, চীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সম্পর্কের মোটিফ।

জাতীয় সংসদ ভবনকে সামনে রেখে সন্ধ্যার আকাশে আবির্ভূত আবু সাঈদ, মুগ্ধের হাত ধরে সংগ্রাম মুখর জুলাই, পূর্বপুরুষের ৭১ এ পরিভ্রমণ করতে করতে আবেগআপ্লুত মানুষেরা হয়ে পড়েছিলো বাকরুদ্ধ। নতুন বছরে তাদের কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ছিলো, বাংলাদেশে আর কখনও স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা হবে না।

এর আগে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে পরিবেশনা করে ১২টি ব্যান্ড দল। মঞ্চ মাতায় জুলাই শহীদদের জন্য গেয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানো পারসা, ফোক কিংবদন্তি ইসলামউদ্দির পালাকার, মিথুন চক্র, আনিসারা।

সমবেত মানুষরা বললেন, পরিবর্তিত সময়ের এই পহেলা বৈশাখে তারা উপভোগ করেছেন। বর্ষবরণের এই আয়োজনে অতিথি হয়েছিলেন বিদেশি দূতাবাসের কর্তারা, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারের উপদেষ্টারা। চীনা রাষ্ট্রদূত বললেন, বাঙালির বর্ষবরণের আনন্দে ভূমিকা রাখতে পেরে তার দেশ গর্বিত।

এএইচ