নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্মাণাধীন ভবনের মালিকের বাকবিতণ্ডা। মালিকের অভিযোগ, কেন আগে নোটিশ দেয়া হয়নি। আর ম্যাজিস্ট্রেট বলছে, অবৈধ হাউজিংয়ে কেন জেনেশুনে বিনিয়োগ?
মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউনে আজ (বুধবার, ৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজউকের নকশা বহির্ভূত এবং অননুমোদিত নির্মাণাধীন ভবন যখন বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হচ্ছিল, তখন উপস্থিত হন কয়েকজন ভবন মালিক। তাদের অভিযোগ, শুরুতেই নিষেধ করলে তাদের গুণতে হতো না আর্থিক ক্ষতি। দোষ চাপান খোদ রাজউকের ওপর।
একজন ভবন মালিক বলেন, ‘আজকে এখানে রাজউক বলছে মোবাইল কোর্ট চালাচ্ছে তারা। কিন্তু এর কারণে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষ।’
অভিযান পরিচালনাকারী মজিস্ট্রেট বলেন, ‘রাজউকের অনুমোদন না নিয়েই ইচ্ছেমতো তৈরি হচ্ছে এসব ভবন। কয়েকবার রাজউকের পক্ষ থেকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা মানা হয়নি।’
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. লিটন সরকার বলেন, ‘তারা তাদের প্রকল্পের অনুমোদন না নিয়েই ভবনগুলো করছে। আর এটি করতে গিয়ে যেটা হয়েছে, যেখানে ৫ তলা বা ৬ তলা ভবন করার কথা, সেখানে তারা ৮ তলা-৯ তলা করেছে। জায়গা বাড়িয়ে রাস্তার জায়গা দখল করেছে, যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী রেখে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এরকম অনেক অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে আছে।’
মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউনে সারিবদ্ধভাবে গড়ে উঠেছে অনেক বহুতল ভবন।
প্রথমে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করা হয়। এরপর ভবনের বর্ধিতাংশ বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয়।
লিটন সরকার বলেন, ‘নকশা না মেনে তৈরি হওয়া যেসব ভবনে ইতোমধ্যে বসবাস শুরু হয়েছে সেগুলোও রাজউকের অভিযান থেকে ছাড় পাবে না। কীভাবে দোষীদের আইনের আওতায় আনা যায়, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই কমিটি গঠন করে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।’