জাতীয় সংসদ ভবনকে সামনে রেখে সন্ধ্যার আকাশে আবির্ভূত আবু সাঈদ, মুগ্ধের হাত ধরে সংগ্রামমুখর জুলাই, পূর্বপুরুষের ৭১ এ পরিভ্রমণ করতে করতে আবেগাপ্লুত মানুষেরা হয়ে পড়েছিল বাকরুদ্ধ। নতুন বছরে তাদের কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ছিল, বাংলাদেশে আর কখনও স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা হবে না।
২৬শ' ড্রোন ব্যবহার করে ১২টি মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়। ১৪ মিনিটের প্রদর্শনীর মূল বিষয় ছিল মুক্তির আনন্দ, আবু সাঈদের অকুতোভয় আত্মাহুতি, নারী জাগরণ, দেশিয় সংস্কৃতি ও জনগণের সংহতি এবং চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী।
এতে একটি ছবিতে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে প্যালেস্টাইনের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সংহতিও জানানো হয়েছে।
ড্রোন শো পরিচালনায় ৬ সদস্যের চীনা বিশেষজ্ঞ দল গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করে। ড্রোন শো পরিচালনা করেন চীনের ১৩ জন বিশেষজ্ঞ।
এর আগে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে পরিবেশনা করে ১২টি ব্যান্ড দল। মঞ্চ মাতায় জুলাই শহীদদের জন্য গেয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানো পারসা, ফোক কিংবদন্তি ইসলামউদ্দির পালাকার, মিথুন চক্র, আনিসারা।
সমবেত মানুষেরা বললেন, পরিবর্তিত সময়ের এই পহেলা বৈশাখে তারা উপভোগ করেছেন।
বর্ষবরণের এই আয়োজনে অতিথি হয়েছিলেন বিদেশি দূতাবাসের কর্তারা, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারের উপদেষ্টারা। চীনা রাষ্ট্রদূত বললেন, বাঙালির বর্ষবরণের আনন্দে ভূমিকা রাখতে পেরে তার দেশ গর্বিত।