ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারে গঠিত সার্চ কমিটিকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে সকল ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠনের প্রস্তাব জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ডেডলাইন পার হতে বাকি আর মাত্র এক দিন। অথচ অর্ধেকের মতো সংস্থার কমিটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ঠিক কী কারণে অ্যাডহক কমিটি দিতে দেরি হচ্ছে? আজ স্বাধীনতা কাপ ভলিবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী টুর্নামেন্টে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনগুলোকে পুনর্গঠন করার জন্য। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতাটা জরুরি। আপনারা জানেন বিগত সময়গুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ফেডারেশনগুলোতে ছিল এবং এর কারণে যেটা হয়েছে যে, আমি যদি শুটিং ফেডারেশনের কথা বলি, শুটিং ফেডারেশনের অ্যামুনেশন এবং অস্ত্র জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফেডারেশনের দায়িত্বশীলদের সহযোগিতাতেই মানুষের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা একটু বাড়তি সতর্কতার সাথে কমিটিগুলো পুনর্গঠন করছি।'
গেল সপ্তাহে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রীড়াবিদদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে সব ফেডারেশনকে চিঠি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তবে এভাবে খেলোয়াড় যুক্ত করাকে স্থায়ী সমাধান মনে করছেন না ক্রীড়া উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, 'আমরা এনএসসি থেকে একটা নির্দেশনা দিয়েছি যে, এটার একটা অ্যাসেসমেন্ট করে তাদেরকে কীভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায়, বাংলাদেশের স্পোর্টসের উন্নতি করা যায়। তবে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। স্থায়ী সমাধান হলো, আমাদেরকে খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে প্রতিভাবান এবং সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়গুলোকে নিয়ে এসে তাদেরকে প্রপার ফ্যাসিলিটিজ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করতে হবে। তবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত যারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ভালো করছেন, তাদের নিয়ে আসার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবো না।'
এদিকে শহীদ নূর ভলিবল স্টেডিয়ামে যাতে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়, সেজন্য আগামী অর্থ বছরে স্টেডিয়ামটি সংস্কারের আশ্বাস দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।