‘বিগত সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে ইসি সংস্কার কমিশন’

0

বিগত ৩টি সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে ইসি সংস্কার কমিশন। আইনে নির্বাচনী অপরাধের যে-সব ধারা আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসি সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। আজ (সোমবার, ১৪ অক্টোবর) ইসি সচিবালয়ের সভাকক্ষে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের বৈঠকে জানানো হয়, হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগে গাইডলাইন তৈরি করা হবে। মামলা সংক্রান্ত ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

২০১৪ সালের এক তরফা নির্বাচন। ১৮ সালের রাতের ভোট আর ২৪ সালের ডামি নির্বাচন। বিগত ৩টি সংসদ নির্বাচন, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার ইতিহাসে বিতর্কিত অধ্যায়। এই ৩টি জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় সব মহলে। এবার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরও আলোচনার তালিকাতেও এই ৩টি নির্বাচন।

সোমবার ইসি সচিবালয়ের সভাকক্ষে দ্বিতীয়বারের বৈঠকে বসে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। বৈঠকে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, বিগত ৩টি সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করা হবে। এজন্যই পর্যালোচনা করা হচ্ছে আইনের নির্বাচনী অপরাধের ধারাগুলো।

সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করার চেষ্টা করবো আমরা। এগুলোতে ত্রুটি বিচ্যুতি যেগুলো ঘটেছে সেগুলো চিহ্নিত করে আমরা সুপারিশ করবো। সেকশন ৭৩ থেকে ৮৯ এই ধারাগুলো নির্বাচন অপরাধ সংক্রান্ত।’

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ নির্বাচনের যত আইন ও বিধিবিধান রয়েছে, সবগুলোই পর্যালোচনা করছে সংস্কার কমিশন।’

এদিকে বৈঠকে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান জানান, মামলা করতে যে-সব ভোগান্তিতে পড়তে হয় তা নিরসনের পথ বের করাকেই আপাতত প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা কীভাবে দ্রুত এই মামলা নিষ্পত্তি করা যায় সেজন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের একটা ইচ্ছা আছে জর্জ নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে একটা গাইডলাইন তৈরি করে দেয়া।’

তিনি জানান, ৯০ দিনের মধ্যে বিচারপতি, বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, ব্যবসায়ী ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত নিবে সংস্কার কমিশন।

ইএ