মেহেরপুরে লিচুর ফলনে খুশি চাষিরা, নওগাঁয় আমপাড়ার সময়সূচি নির্ধারণ

মেহেরপুরে লিচুর ফলনে খুশি চাষিরা, নওগাঁয় আমপাড়ার সময়সূচি নির্ধারণ
মেহেরপুরে লিচুর ফলনে খুশি চাষিরা, নওগাঁয় আমপাড়ার সময়সূচি নির্ধারণ |
0

বৈশাখ পেরিয়ে আসছে জ্যৈষ্ঠমাস। আর জ্যৈষ্ঠমাস মানেই রসালো ও সুমিষ্ট ফলের ভরপুর মৌসুম। মেহেরপুরে এ বছর লিচুর বাম্পার ফলনে খুশি চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এই জেলায় এবছর ৬ হাজার টন লিচু উৎপাদন হবে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। এদিকে প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে আম বাগানিদের। আমপাড়ার সময়সূচি নির্ধারিত হওয়ায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন তারা।

গাছে গাছে ছেয়ে আছে গোলাপি-সবুজ লিচু। মেহেরপুর জেলার সব লিচু বাগানে থরে থরে ধরে আছে রসালো এই ফল। মেহেরপুরে মূলত আটি, বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচুর চাষ হয়ে থাকে। এবার ৭শ' ১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে লিচুর। যা গেলবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। বাগানে বাগানে এবং হাট-বাজারে চলছে লিচু ভাঙা ও বেচাকেনার উৎসব। জেলার চাহিদা পূরণ করে এখানকার লিচু যাচ্ছে দেশের অন্যান্য জেলায়।

বৃষ্টি হওয়ায় বোম্বাই লিচু বাগানে থাকতে থাকতেই বেচাকেনা বেড়েছে যা থেকে এবার ভালো লাভের আশা করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। গেল এপ্রিলজুড়ে তীব্র রোদের কারণে আটি লিচুর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে তবে অন্য জাতের লিচুর ভালো ফলনে তা কাটিয়ে উঠছেন চাষিরা।

বাগান মালিকদের একজন বলেন, 'এবছরে লিচুর দাম ভালো হওয়ায় আমরা আশাবাদী বিক্রি ভালো হবে।'

আরেকজন বলেন, 'আবহাওয়া যদি এইরকম ২০ থেকে ২৫ দিন থাকে তাহলে চাষিরা লাভবান হবে।'

লিচুর আকার ও পরিপক্কের জন্য করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃঞ্চ হালদার বলেন, 'এরই মধ্যে আগাম লিচু বাজারে   উঠছে। যদি ঝড়-বৃষ্টি না হয় তাহলে লিচু চাষিরা ভালো দাম পাবে।' 

এদিকে বরেন্দ্র এলাকা নওগাঁর আম বাগানিদের দীর্ঘ প্রতিক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে এরইমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে আমপাড়ার সময়সূচি। ২২ মে গুটি আম দিয়ে শুরু হবে আম নামানো।

এবছর মোট ৩৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ১৬ জাতের আম চাষ করেছেন চাষিরা। যা থেকে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের আশা।

আম চাষিরা বলছেন, এ বছর প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও খরায় অনেক আমের গুটি ঝরে পড়েছে। গাছে আম কিছুটা কম থাকলেও গেলবারের তুলনায় ভাল দাম পাওয়ার আশা বাগানিদের।

সেজু