বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস বাংলা ছাড়া স্বল্প খরচের কিছু বাজেট ক্যারিয়ার চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এসব এয়ারলাইন্সের ইউরোপ-আমেরিকাগামী কানেকটিং ফ্লাইট না থাকায় চট্টগ্রামের প্রবাসী যাত্রীদের ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে হয়। এতে অতিরিক্ত খরচ ও সময় ব্যয় হয়। তাই বড় এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালুর দাবি দীর্ঘদিনের।
যাত্রীরা বলেন, আমাদের ঢাকা যেতে হয় কারণ বড় কিছু এয়ারলাইন্স যেমন কাতার, আমিরাতস এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম থেকে যায় না। সরাসরি চট্টগ্রামে এদের ফ্লাইট নেই। দুবাই থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম আসার সুবিধা করা হলে আমাদের জন্য ভাল হয়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। একমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সরাসরি সৌদি আরবের জেদ্দা ও মদিনায় যায়। মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু বিমান সংস্থা সৌদি আরব গেলেও মাঝখানে অন্য গন্তব্য বিরতি দেয়ায় সময় বেশি লাগে । আশার খবর হচ্ছে, আগামী মার্চে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট পরিচালনার শিডিউল নিয়েছে সৌদি এয়ারলাইন্স।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, 'সৌদি এয়ারলাইন্স সরাসরি চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালু করার জন্য সিডিউল নিয়ে রেখেছে। সৌদি প্রবাসীরা তখন সারাসরি এটি ব্যবহার করতে বেশি আগ্রহী হবে।'
একইভাবে কাতারে দোহাকে অন্যতম এভিয়েশন হাব বলা হলেও এ রুটে বিমান বাংলাদেশ ছাড়া ফ্লাইট নেই অন্য এয়ারলাইন্সের। চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ। এ বিমান সংস্থার ফ্লাইট চালু হলে শুধু কাতারগামী যাত্রী নয়, ইউরোপ-আমেরিকার যাত্রীদের জন্যও সুবিধা হবে। তাদের আর ঢাকা যেতে হবে না।
বিমানবন্দরের পরিচালক জানান, দুটি বিমান সংস্থার প্রস্তাব অনুযায়ী যাত্রী ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা ও ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তাসলিম আহমেদ আরও বলেন, ‘কাতার এয়ারওয়েজ ও সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি করে দল এসেছিল। তারা সবকিছু দেখে গিয়েছেন এবং তারা আমাদের বিষয়ে সন্তুষ্ট। কিছু প্রশ্ন ছিল আমরা সেগুলো সমাধানও করছি।’
ট্রাভেল এজেন্ট ও হজ এজেন্টরা বলছেন, সৌদি ও কাতার এয়ারওয়েজের মতো বড় এয়ারলাইন্স আসলে যাত্রীরা ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন। ওমরাহর পিক সিজনে ফ্লাইট সংকট থাকবে না। ফলে একচেটিয়া ভাড়া বাড়াতে পারবে না বিমান সংস্থাগুলো। এ দুটি বিমান সংস্থার ফ্লাইট পরিচালনা নিশ্চিত করতে আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার আহ্বান তাদের।
অ্যাটাব-এর নির্বাহী সভাপতি মুজিবুল হক শাকুর বলেন, ‘কাতার এয়ারওয়েজ ও সৌদি এয়ারলাইন্সে খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। আর এদের সার্ভিসও ভাল। সেজন্য যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যেকোন দেশে যাত্রা করতে পারবে।’
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তজার্তিক বিমানবন্দর থেকে বর্তমানে ওমান এয়ার, ফ্লাই দুবাই, সালাম এয়ার, এয়ার এরাবিয়া মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন গন্তব্য ফ্লাইট পরিচালনা করছে । সম্প্রতি ফ্লাইট বন্ধ করেছে কুয়েতের জাজিরা এয়ারওয়েজ।