গত ১১ নভেম্বর এই রেলপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার সেই রেলপথ যাত্রীদের জন্য খুলে যাচ্ছে।
এই পথে মাত্র ৭৮০ সিটের বিপরীতে প্রতিদিন টিকিটপ্রত্যাশীর সংখ্যা লক্ষাধিক। টিকিটপ্রত্যাশীরা বলেন, এতো তাড়াতাড়ি টিকিট শেষ হয়ে যাবে তা কখনও ভাবিনি।
কক্সবাজার স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, নিরাপদে ট্রেন পরিচালনার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন সবই করা হয়েছে। আশা করছি, অপারেশনাল কাজে কোনো সমস্যা থাকবে না।
কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৭৮০ জন কক্সবাজার যেতে পারবেন। ঢাকা-কক্সবাজার পথের রেল যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, কোরিয়া থেকে আসা কোচগুলোতে আপতত শোভন ও স্নিগ্ধা চেয়ার রাখা হয়েছে। যেখানে শোভন চেয়ারের মূল্য ৬৯৫ টাকা ও এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান বলেন, এই ট্রেনটি ননস্টপ এবং বিশেষত পর্যটকদের জন্য। আর ট্রেন অনুযায়ী ভাড়ার ভিন্নতাও থাকে। যখন এই পথে মেইল বা লোকাল ট্রেন চলাচল করবে তখন টিকিটের মূল্য কমতে পারে বলে তিনি জানান।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে অত্যাধুনিক বার্থ কোচ যুক্ত হবে হবে। সেই সাথে কক্সবাজার রেলস্টেশন থেকে পর্যটন স্পটগুলোতে চালু হবে বিশেষ বাস সার্ভিস।
প্রতি সোমবার ঢাকা থেকে চলবে না কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি। আর কক্সবাজার থেকে ট্রেনটির চলাচল মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।




