হেমন্তের খামে শিশিরের চিঠি। দিগন্তজুড়ে মোহনীয় রূপ। ঋতুবৈচিত্র্যের এ গল্পের নাম শীত। গায়ের ধুলোমাখা পথ, হাঁটু সমেত নদী-বিলের জল। প্রকৃতিতে কড়া নাড়ে এই ঋতু।
উত্তরের দুয়ারে হেমন্তেই হিমালয় থেকে ছুটে আসে শীতকন্যা। আগমনী গানে ভরে ওঠে ভোরের মাঠ। কচু পাতার ডগা, ধানের শীষ। শিশির পতনের দৃশ্য ঝরে ঘাসের ডগায়। হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ও সাজে নতুন রূপে।
আরও পড়ুন :
স্থানীয়রা জানান, এসময় হালকা হালকা ঠান্ডা পরে। এ সময় তাদের জন্য ভালো বলে জানান স্থানীয়রা।
দিনের কড়া রোদ থামে গোধূলিতে। তাপমাত্রার পারদ নেমে আসে উত্তরের হাওয়ায়। ভোরে কখনো হালকা কখনো ভারি কুয়াশা ঢেকে দেয় পথঘাট।
বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষেরা জানান, ভোরে ঠান্ডা পরে, ফলে তাদের কাজ করতে কষ্ট হয়। শীত বরণে প্রস্তুতিও চলে জোরকদমে। লেপ তোষক ও গরম কাপড়ের দোকানে বেড়েছে চাপ।
লেপ তোষকের কর্মীরা জানান, তাদের ব্যবসা ভালোই চলছে। বর্তমানে দোকানে লেপ তোষকের চাহিদা ভালো রয়েছে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন:
এই শীত এলেই পঞ্চগড় হয়ে উঠে রূপের রানী। হালকা শীতে প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে দারুণ উপভোগের। নগরের কোলাহল ছেড়ে উত্তরে দলবেঁধে ছুটছেন সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষ।
শীত এলেই আরমোরা ভেঙে জেগে উঠে জেলার পর্যটন শিল্প। চাঙা হয় অর্থনীতি। আবাসিক হোটেলে বাড়ে চাপ। দাবি উঠেছে পর্যটন এলাকা ঘোষণার।
পর্যটকরা জানান, তারা তেতুলিয়া গিয়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য। শীতের আমেজে তাদের উত্তরবঙ্গে ভালো লাগছে বলে জানান তারা।
জেলার সমতলের চা বাগান, বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্টসহ দর্শনীয় স্থানগুলো জমে উঠে মানুষের আনাগোনায়। সেই সঙ্গে শীতের আগাম প্রস্তুতির কথাও জানায় জেলা প্রশাসন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, শীতের সময় কাঞ্চনজঙ্ঘার যে অপরূপ দৃশ্য সেগুলো দেখা যায়। পর্যটনের একাংশ আমরা পঞ্চগড়বাসী পেতে পারি। কারণ একদিকে শীতের আমেজ ও অন্যদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ পরিবেশ রয়েছে।
হালকা ও উপভোগের এই শীত ডিসেম্বরের শুরুতে রূপ নেবে দুর্ভোগে এমনটা আভাস আবহাওয়া অফিসের।
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জীতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে এই পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এখানে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।’
হেমন্তের মাঠভরা ধান আর পিঠাপুলির গন্ধে ভেসে আসা শীত পৌষ মাঘে নিয়ে আসে দুর্ভোগ। অনাগত দিনের কষ্টের শঙ্কায় সীমান্ত জনপদের মানুষেরা।





